সোমনাথ মজুমদার, বনগাঁ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ। পেট্রাপোল স্থল বন্দরের পার্কিং এলাকায় পরিবহন সংস্থার কর্মীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন পরিবহন সংস্থার কর্মীরা। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে প্রবেশের আগে রফতানি বাণিজ্যের ট্রাকগুলি পেট্রাপোল স্থল বন্দরের কেন্দ্রীয় পার্কিং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে শুল্ক দফতরের অনুমতি নেওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
এতদিন এই কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য পরিবহন সংস্থার প্রতিনিধিরা বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচয়পত্র নিয়ে পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করতেন। কিন্তু গত শনিবার থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই কর্মীদের আর সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিএসএফ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে বিএসএফের দাবি। এর বদলে ইউনিক কার্ড চালু করার কথা জানানো হয়েছে৷ সীমান্ত বাণিজ্যে যুক্ত ব্যাবসায়ীদের দাবি, এটা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। তার জন্য সময় লাগবে৷
রফতানি বাণিজ্যের কোনও ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি Export trade closed at Petrapole Border
এ বিষয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ইউনিক কার্ড হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আপাতত সীমান্তরক্ষী বাহিনী চেকিং চারগুণ করে দিয়ে আমাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিন। আমাদের দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকার মেনে নিয়ে পূর্বের মতো নিয়ম চালু করুন৷
হঠাৎ করে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রফতানি বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে ফের পার্কিং এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে। আন্দোলনের ফলে এদিন সকাল থেকে রফতানি বাণিজ্যের কোনও ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে সমস্ত রকমের নথি চেয়ে নেওয়ার পরেও প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংস্থার কর্মীরা৷
—–
Published by Subhasish Mandal