দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই চারটি দফা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আরও তিনটি দফা। আর এর মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে ফের ঝাড়খণ্ড। আর সেই সঙ্গে ফের ‘অস্বস্তি’তে কংগ্রেস। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ঝাড়খণ্ডের হেভিওয়েট মন্ত্রী আলমগীর আলম। বুধবার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আলমগির আলমকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। বুধবার তদন্তকারী সংস্থার রাঁচির দফতরে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আলমগিরকে।
আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে নেমে রাঁচির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা। বুধবার মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হল। তবে এই গ্রেফতারিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন আলমগীর।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের বিরুদ্ধে। সেই বছরই ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আর তাঁর সূত্র ধরেই ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগীর আলম এবং তাঁর সচিব সঞ্জীব লালের খোঁজ মেলে।
উল্লেখ্য, এর আগে জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। বর্তমানে জেলবন্দি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন আলমগীর আলম। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে একবার ফের ব্যাকফুটে হাত শিবির।