সৌম্য প্রামাণিক, পূর্ব মেদিনীপুর, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : Corruption in MNREGA project in Nandakumar block কেন্দ্রীয় সরকারের MNREGA (মনরেগা) প্রকল্পে অর্থাৎ ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতিতে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কয়েকদিন আগেই নন্দকুমার ব্লকের কুমোরচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হয়। এবার সেই নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসে তদন্ত শেষ করে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে।
১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তি ও জেলে থাকা অভিযুক্তদের নামে টাকা তোলার অভিযোগ Corruption in MNREGA project in Nandakumar block
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন আইনজীবী আত্তরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই গতকাল এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ওই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তি ও জেলে থাকা অভিযুক্তদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ উঠলেও কোনও তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ। এবার সেই মামলায় তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
কুমোরচক গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি Corruption in MNREGA project in Nandakumar block
প্রসঙ্গত, নন্দকুমার বিধানসভার কুমোরচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার অপরাধে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির পঞ্চায়েত গোপাল বেরার উপর লোহার রড, বাটাম দিয়ে মারধরের পাশাপাশি তাঁর পকেট থেকে নগদ পনেরো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার খবর পেয়ে আক্রান্ত বিজেপি সদস্য বাসুদেব বাবুর রাজারামপুরের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে আহত গোপাল বেরার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে ওনাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের Corruption in MNREGA project in Nandakumar block
জানা যায়, ১১ জানুয়ারি কুমোরচক অঞ্চলে সর্বদলের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সভা চলাকালীন বিজেপির দুই প্রতিনিধিকে ব্যাপকভাবে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অঞ্চল অফিস থেকে মারতে মারতে বের করে বিজেপির গোপাল বেরাকে। তাতে গুরুতর আহত হয় বিজেপির দুই প্রতিনিধি। যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করে স্থানীয় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বরা। মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের গ্রাম প্রধান সুধাংশু শেখর সামন্ত, ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রদীপ দে-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
—–
Published by Subhasish Mandal