সুপ্রিয় বসাক, জলপাইগুড়ি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এলেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি লতিফ খান। শনিবার দুপুরে তিনি বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে উপস্থিত হন হাসপাতালে। এদিন দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি। পরে কড়া প্রহরার মাঝে তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি খতিয়ে দেখেন এবং রেলের আধিকারিকদের থেকে বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি লতিফ খান বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতরা কেমন আছে তা দেখলাম। দুর্ঘটনার ঠিক আগে কেমন পরিস্থিতি ছিল। কতটা জোরে ট্রেন চলছিল সেই বিষয়ে খোঁজ নিলাম।’ ঘটনার পর রেলের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
হাসপাতালে এলেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি এবং প্যাসেঞ্জার আমিনিটিস কমিটির সদস্যরা Bikaner-Guwahati train accident
পাশাপাশি এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন রেলের প্যাসেঞ্জার অ্যামিনিটিস কমিটির সদস্যরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হাসপাতালেও আহতদের চিকিৎসা সর্ম্পকে খোঁজ নিলেন। মৃত এবং আহতদের সমস্ত রকম ক্ষতিপূরণ মিলেছে কিনা তার খোঁজ খবরও নিলেন সদস্যরা। শনিবার বিকালে ময়নাগুড়ি দোমহনি এলাকায় গৌহাটি বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে একথাই বললেন রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যামিনিটিস কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস। তিনি আরও জানান যে, যাঁরা আহত হয়েছে তাঁদের চিকিৎসার সব রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাঁদের গুরুতর আঘাত রয়েছে তাঁদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এদিন তিনি দুর্ঘটনায় রেলের অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ না ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, এটা জার্মান প্রযুক্তি। এখন আমাদের দেশে সেগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সুপারফাস্ট এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এই কামরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রেলের আধিকারিক এবং কর্মীরা যেভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘটনাস্থলে থেকে কাজ করেছেন তারও প্রশংসা করেন।
—–
Published by Subhasish Mandal