ঘরোয়া চাপের মুখে পড়েই কি অবশেষে হাল ছাড়লেন? কানাডার শাসক দল তথা লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই এমনই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই এটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে ক্ষমতা থেকে সরতে চলেছেন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তবে এও জানা গিয়েছে যে, পরবর্তী নেতা নির্বাচন করা পর্যন্ত আপাতত প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যাবেন তিনি।
ইস্তফাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন
এখন প্রশ্ন উঠছে, কোন চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে হল ট্রুডোকে? এর পিছনে কি ভারত-বিরোধিতার বিষয়টিও কাজ করেছিল? নিজের দলের মধ্যেই ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েছিলেন তিনি? এছাড়া, দেশের আর্থিক মন্দা, দলীয় কোন্দল এসব ইস্যু তো ছিলই।
বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তাঁর শাসনকালেই নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।
জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্লেঙ্কের নাম প্রস্তাবি্ত হয়েছে। চলতি বছরেই সেখানে জাতীয় সংসদ ভোট হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Donald Trump: মার্কিন পণ্যে কর বসানো নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের!
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ফিরিয়েছিলেন ক্ষমতায়।