Thursday, October 24, 2024
Homeলাইফ স্টাইলWays to gain weight ওজন বাড়ানোর উপায়

Ways to gain weight ওজন বাড়ানোর উপায়

সমীর সাইনি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Ways to gain weight সাধারণভাবে মনে করা হয় মেদহীন হালকা-পাতলা গড়নের নারী-পুরুষদের সবাই পছন্দ করেন।এরা যা ইচ্ছে তা-ই খেতে পারেন, যা ইচ্ছা তা-ই পড়তে পারেন। কিন্তু এই সমস্ত নারী পুরুষ কি নিজেদের শরীর নিয়ে সন্তুষ্ট?এরা কি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী?বাস্তবটা হল এমন মানুষদের অনেকেই নিজেদের হালকা-পাতলা শরীরটা নিয়ে দুর্ভাবনায় থাকেন। আবার কেউ কেউ তো দিনমান ‘রোগা-পটকা’, ‘তালপাতার সেপাই’, ‘কিছু খাও না নাকি’, ‘মাকে ঠিক করে খেতে দিতে বলো’ ইত্যাদি শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ।

যে যা-ই বলুক, শরীরটা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বোঝার একটা ভালো উপায় হলো ‘বডি মাস ইনডেক্স’ বা উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতের হিসাব। সে অনুযায়ী ওজন কম হলে বিষয়টা ভাবা প্রয়োজন। কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক তেমনি অতিরিক্ত ওজনহীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে। হালকা-পাতলা শরীরটায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে রক্তশূন্যতা, ঝামেলা থাকতে পারে পরিপাকের। এ ছাড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ঝুঁকি ও হাড়ের দুর্বলতাও চিন্তার বিষয়। ফলে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে এই সহজ উপায়গুলি অবলম্বন করে ওজন বাড়াতে পারেন।

প্রোটিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি

আপনি আপনার খাদ্যে প্রোটিন যোগ করে আপনার ওজন বাড়াতে পারেন। মাছ, ডিম, দুধ, দই, বাদাম, প্রোটিন পাউডার, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি খেয়ে ওজন বাড়াতে পারেন। এগুলো সেবন করলে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরও সুস্থ থাকে।

বাদাম খেয়ে ওজন বাড়ান

শুকনো ফল খাওয়া আপনার ওজন বাড়াতে খুব উপকারী হতে পারে। এর ভিতরে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আপনার খাদ্যতালিকায় আখরোট, বাদাম, তরমুজের বীজ, কিশমিশ, কাজু ইত্যাদি যোগ করেন, তাহলে তা আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।

আপনার ডায়েটে দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করুন


আপনার ওজন বাড়াতে দুধের খাবার খুবই উপকারী হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় পনির, ক্রিম, দই, দুধ, মাখন ইত্যাদি গ্রহণ করে সহজেই আপনার ওজন বাড়াতে পারেন।

সবুজ শাক-সবজি খান

সবুজ শাক-সবজিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি যোগ করেন। তাহলে শুধু ওজন বাড়ানোই যাবে না, মানুষের শরীরের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারে। পালং শাক, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবুজ শাক সবজি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।

দিনে পাঁচ–ছ’বার খাবার গ্রহণ

যাঁদের ওজন কম, তাঁদের তিন–চার ঘণ্টা পরপর খাবার খেতে হবে। দীর্ঘসময় পেট খালি রাখা চলবে না। পুষ্টিকর উচ্চ ক্যালরির খাবার যদি বারবার গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা যদি পূরণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুতই ওজন বাড়ানো সম্ভব।

শর্করাজাতীয় খাবার

অনেকেই শর্করা একেবারে কম গ্রহণ করেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। যাঁদের ওজন কম, তাঁদের অবশ্যই মোট ক্যালরির শতকরা ৫০-৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করতে হবে। দিনে তিনবার প্রধান খাবার হিসেবে শর্করা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আলু, আটা, চাল, পাস্তা অন্যতম।

উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার


খাবার যেন উচ্চ ক্যালরি যুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। খেতে পারেন ঘি, মাখন, ডিম, পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, কন্ডেনস্ড মিল্ক, ডিম, কিসমিস, খেজুর, দই, কলা, আঙুরের জুস, আনারস ইত্যাদি। কারণ এসব খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে।

শরীরচর্চা শুরু করুন


সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যত হালকা-পাতলাই হন না কেন ব্যায়ামে আপনিও দারুণ উপকৃত হবেন। রাতে ঠিকঠাক ঘুমিয়ে পড়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মতো অভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। তেমনি শরীরচর্চাটাও জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। ফলে সাধারণ ক্ষুধা মন্দা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন। নিয়মিত শরীরচর্চায় আপনার পেশি সুগঠিত হবে এবং শারীরিক শক্তি বাড়বে। যোগব্যায়ামের অনেক আসন চর্চা করেও আপনি উপকৃত হতে পারেন।

ছেড়ে দিন ধূমপান


যত বেশি ধূমপান করবেন আপনার ক্ষুধা না লাগার সমস্যা তত বাড়তেই থাকবে। অবশ্য জগতে অতিরিক্ত ওজনের মোটাসোটা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন এবং হাড় জিরজিরে রোগা-পটকা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন। কিন্তু কথাটা হলো ধূমপান কারও স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো না। আর ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর সবারই প্রথম যে উপকার হয় তা হলো ক্ষুধা বাড়তে থাকা।

আরও পড়ুন : Benefits of eating eggs during pregnancy গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা

___

Published by Julekha Nasrin

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular