Friday, November 22, 2024
Homeস্বাস্থ্যVitamin D deficiency ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঘরোয়া প্রতিকার

Vitamin D deficiency ভিটামিন ডি-এর অভাবের ঘরোয়া প্রতিকার

নীলিমা সারগোধা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা,Vitamin D deficiency শরীরে হাড়, পেশী ও দাঁত সুস্থ ও শক্তিশালী করার জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য।ভিটামিন ডি শরীরের হাড়ে ক্যালসিয়াম পরিবহনের কাজও করে। আজকাল শহুরে জীবনযাত্রায় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হতে শুরু করেছে। মানুষ রোদে বের হওয়া এড়িয়ে চলে, এমন পরিস্থিতিতে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ভিটামিন ডি পায় না। ভারতের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা অনেক। বিশেষ করে শীতের সময় ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুব জরুরি। তার উপর করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেও ভিটামিন ডি কার্যকর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে শীতে হাড়ের সমস্যা ও ফ্লু এর সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস সূর্যালোক। এছাড়া এই ভিটামিন মেলে এমন কিছু খাবারও রাখতে পারেন পাতে।

ভিটামিন ডি-এর  উৎস

১. ডিমের কুসুম

মাছকে ভিটামিন ডি-এর খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিন্তু আপনি যদি মাছ না খান, ডিমও এটির একটি ভালো উৎস। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন এবং হলুদ অংশে চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়।

২. মাশরুম 

মাশরুম ভিটামিন ডি- এর একটি ভালো উৎস। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মাশরুম মানুষের মতো সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষ করতে পারে। বন্য মাশরুম ভিটামিন D2 এর একটি ভাল উৎস।

৩. গরুর দুধ

দুধের মধ্যে গরুর দুধ সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বেশি খাওয়া হয়। এটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং অনেক পুষ্টির একটি ভালো উৎস। এক কাপ গরুর দুধে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ হয়।

. সয়া দুধ

ভিটামিন ডি একচেটিয়াভাবে প্রাণীজ পণ্যে পাওয়া যায়। আপনি যদি নিরামিষাসী হন তাহলে, সয়া দুধ আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প। সয়া দুধ ভিটামিন এবং খনিজগুলির মতো অন্যান্য পুষ্টিরও একটি ভাল উত্স।

৫. কমলালেবুর রস


বিশ্বের প্রায় 2-3% মানুষের দুধে অ্যালার্জি । আপনিও যদি এর মধ্যে থেকে থাকেন, তাহলে দুধের পরিবর্তে কমলার রস খাওয়া উচিত। কমলা ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য পুষ্টিরও ভালো উৎস। এক কাপ কমলার রস পান করলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

৬. মাছ


বিভিন্ন মাছে রয়েছে ভিটামিন-ডি। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন : স্যালমন, সারদিনস, টুনা, ম্যাককেরেল ইত্যাদি। দৈনিক ভিটামিন-ডি’র চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ হতে পারে একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ বা তিন আউন্স ওজনের একটি স্যালমান মাছের টুকরো থেকে।

৭. দই


ভিটামন ডি এর আরেকটি ভালো উৎস হলো দই। এটি বেশ স্বাস্থ্যকর, হজমের জন্য উপকারী। এছাড়া হাড় যেমন মজবুত করে দই, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

৮. ওটমিল

ভিটামিন ডি এর দারুণ এক উৎস ওটমিল। এতে মিনারেল ও অন্য ভিটামিনও আছে। ব্রেকফাস্টে দুধের সাথে ওটমিল মিশিয়ে খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর। শস্য হিসেবে ওটমিল ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে।

আরও পড়ুন : সবুজ টমেটোর স্বাস্থ্য গুণাগুণ

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular