Home remedies for Hiccups হেঁচকি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
নীলিমা সারগোধা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা: খেতে বসে হেঁচকি উঠলে আমাদের মা-ঠাকুমাকে বলতে শোনা যেত, ‘কেউ নিশ্চয়ই মনে মনে তোর নাম করছে।’ মা-ঠাকুমার কথা না-হয় বাদ রইল। চারপাশে হেঁচকি নিয়ে অন্ধবিশ্বাসের কমতি নেই। এমনও বলতে শোনা যায়, চুরি করে খেলে নাকি হেঁচকি ওঠে! অবশ্য এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও যোগ নেই। অনেক সময় মশলাদার খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করে হেঁচকি ওঠে। আবার আমরা সবাই নিশ্চয়ই শুনেছি, কেউ যখন আপনাকে মিস করে তখন হেঁচকি আসে।কিন্তু হেঁচকি কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজে থেকেই চলে যায়, কিন্তু যতক্ষণ হেঁচকি থাকে ততক্ষণ খাওয়া ও কথা বলা খুব কঠিন। হেঁচকি বন্ধ করার অনেক উপায় আছে।
হেঁচকির কিছু কারণ
• মশলাদার খাবারের জন্য
• অনেক খাবার একসাথে মুখে ভরে দিলে
• তাড়াহুড়া করে খাবার খেলে
• খাবার সময় কথা বললে
আমাদের বুকের খাঁচাকে পেট থেকে আলাদা করেছে একটি মাংসপিণ্ড। যার নাম ডায়াফ্রাম বা বক্ষচ্ছদা। শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই ডায়াফ্রামের। এই ডায়াফ্রামের আকস্মিক সংকোচনের কারণেই হেঁচকি বা হিক্কা শুরু হয়। প্রতিবার সংকোচনের ফলে ভোকাল কর্ড সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে, হিক শব্দ তৈরি হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে, ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হেঁচকি বন্ধ করার প্রতিকার
১. কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনার শ্বাস ধরে রাখুন।
কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনার শ্বাস আটকে রাখলে আপনি হেঁচকিতে আরাম পেতে পারেন।
২. একটি কাগজ নিন, ব্যাগে শ্বাস নিন এবং তারপর ছেড়ে দিন, এটি করে আপনি স্বস্তি পেতে পারেন।
৩. হেঁচকিতে আরাম পেতে প্রথমে ঠান্ডা পান করতে পারেন, ঠাণ্ডা জল হেঁচকি শান্ত করতে সাহায্য করে।
৪. আপনার যখন হেঁচকি ওঠে, আপনার জিহ্বাকে উপরের দিকে টানুন, এটি আপনার স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে যা জিহ্বাকে হালকা ঝাঁকুনি দেবে যা আপনার হেঁচকি বন্ধ করতে পারে।
৫. লেবু চাটলে বা চিবিয়ে খেলে মুখে টক স্বাদ তৈরি হয় এবং হেঁচকিতে আরাম পাওয়া যায়।
৬. কাজ থেকে শেষ পর্যন্ত ৩০ সেকেন্ডের জন্য গার্গেল করুন, এই প্রক্রিয়াটি কিছু সময় পরে পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।
৭. আপনার জিভে এক চিমটি দানাদার চিনি রাখুন এবং ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য জিভে রেখে দিন, তারপর খান।
৮ .হেঁচকি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হল দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছু ক্ষণ থাকুন। দেখবেন হেঁচকি নিমেষেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
৯. নিজেকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কেননা আপনি ভয় পেলে তা আপনার নার্ভগুলোকেও চমকে দেয়। আর সে কারণেই আপনার হেঁচকিও থেমে যায়।
১০. পিনাট বাটার তো এমনিতেই খেতে বেশ ভালো। তাই হেঁচকি উঠলে দেরি না করে ঝটপট খেয়ে নিতে হবে এক চামচ পিনাট বাটার। হেঁচকি থেমে যাবে।
আরও পড়ুন : সবুজ চাটনির স্বাস্থ্যগুণ