Covid infection in KMC health department: কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগে করোনার হানা
কৌশিক দাস, ইন্ডিয়া নিউজ, কলকাতা: পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগে হানা দিল করোনা৷ এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত 189 জন। আজ একথা জানালেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। এদিন তিনি জানান, 16টি বরোর মধ্যে 4টি বরোর এক্সিকিউটিভরা আক্রান্ত হয়েছেন। 33 জন মেডিক্যাল অফিসার, 36 জন স্টাফ নার্স, 4 জন কমিউনিটি হেল্থ ওয়ার্কার, 6 জন ফার্মাসিস্ট,10 জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, 8 জন অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট, 15 জন নিরাপত্তা কর্মী, 27 জন 100 দিনের কর্মী, 42 জন ল্যাব টেকনিশিয়ান আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতার মানুষকে এই করোনা আবহে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ চ্যালেঞ্জে হয়ে দাঁড়াচ্ছে পৌর প্রশাসনের কাছে। তবে তিনি এদিন স্পষ্ট করেন, এই সময় নতুন করে লোক নিয়োগ নয়। যা ক্ষমতা আছে তাই দিয়েই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যেখানে দুটি টেস্ট সেন্টার কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় দু‘টি মিলিয়ে একটি সেন্টার করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও পাশের ওয়ার্ড থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের এনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। এদিন তিনি বলেন , “স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেদিন থেকে তাঁরা টেস্ট করে পজেটিভ রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন, তার ঠিক 6 দিনের মাথায় আবার টেস্ট করাতে হবে। যদি শারীরিক অবস্থার কোনও সমস্যা না থাকে তাহলে টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরেই 7 দিনের মাথায় তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন।”
কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি । 48 থেকে কনটেনমেন্ট জোন দু‘টি বেড়ে 50 হয়েছে
কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি । 48 থেকে কনটেনমেন্ট জোন দু‘টি বেড়ে 50 হয়েছে। গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, আজ থেকে বাবুঘাট এলাকায় যে শিবির করা হয়েছে সেখানে দু‘টি এবং শনিবার থেকে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে একটি করে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর নিয়ে আদালত যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই মাফিকই কাজ করবে কলকাতা পৌরনিগম। 50 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষের সেফ হোম করা নিয়ে তাঁর দাবি, সরকারের অনুমতি লাগে সেফ হোম করতে। নিয়ম মতো সেই অনুমতি নেননি তিনি।
Published by Samyajit Ghosh