Benefits of Hibiscus flowers জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখুন
নীলিমা সারগোধা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা: জবা ফুল একটি অতি পরিচিত এবং সহজলভ্য ফুল। এই ফুল শুধু মালা বানানো বা পুজোর জন্যই প্রয়োজনীয় নয়, এর বহু স্বাস্থ্যকর গুণও রয়েছে।জবা ফুল এমন একটি ফুল যা চুল থেকে শুরু করে অনেক রোগের চিকিৎসায় লাগে। জবা পাতা হোক বা ফুল, দুটোই আমাদের উপকার করে। আপনার ব্যস্ত জীবনযাত্রায় জবা ফুল ব্যবহার করে আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ করতে পারেন।
অনিদ্রা নিরাময়
জবা ফুল থেকে সবুজ ডাঁটা ভেঙে লেবুর রসে পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। কাঁচের পাত্রে খোলা জায়গায় সারারাত রেখে দিন। সকালে ছেঁকে নিন। এতে ৬৫০ গ্রাম মিছরি বা চিনি এবং গোলাপ জল যোগ করুন। দুই বোতলে ভরে দুই দিন রোদে রাখুন। চিনি মিছরি ভালভাবে দ্রবীভূত হলে, এটি সিরাপে পরিনত হয়। এটি ১৫ থেকে ৪০ মিলি পরিমাণে পান করলে অনিদ্রার সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে
সমপরিমাণ জবা ফুল ও পাতা শুকিয়ে নিন। পিষে গুঁড়ো বানিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন। সকালে ও সন্ধ্যায় এক চামচ করে খান। এক কাপ দুধ দিয়ে পান করতে হবে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
রক্তের ক্ষতি দূর করে
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এক কাপ দুধের সাথে এক চামচ জবা ফুলের গুঁড়ো খান। এতে কয়েক মাসের মধ্যে রক্তের অভাব দূর হয়।
গর্ভের শিশুকে সুস্থ করে তুলুন
জবা ফুলের মূল এবং ফুলের একটি ক্বাথ তৈরি করুন। সকালে এটি ২০-৪০ মিলি পরিমাণে পান করলে অনাগত শিশুর শরীর সুস্থ থাকে।
মুখের ঘা দূর করে
জবার মূল ধুয়ে ফেলুন। এক ইঞ্চি টুকরো করে কেটে রাখুন। একটি করে টুকরো চিবান এবং দিনে ৩-৪ বার। দু-একদিনের মধ্যে মুখের ঘা সেরে যাবে।
পেট ব্যথা উপশম
কোলিক নিরাময়ের জন্য, জবা পাতার ৫-১০ মিলি রস পান করুন। এটি পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন : https://indianewsbangla.com/health/clean-eyes-by-adopting-ayurveda-tips/
ফোলা এবং ব্যথা উপশম
জবার পাতা ও ফুল জলে পিষে ফোলা ও ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগান। এটি ফোলা এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
জ্বর সারাতে সাহায্য করে
জ্বর নিরাময়ের জন্য, ১০-২০ মিলি জবার মূল এবং পাতার একটি ক্বাথ বানিয়ে নিন। এটি জ্বর নিরাময় করে। একইভাবে ৫-১০ গ্রাম হিবিস্কাস ফুলের পেস্ট চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে জ্বর কমে যায়।
কাশি এবং সর্দি নিরাময়
কাশি এবং সর্দি হলে, ১৫ মিলি জবা গাছের মূলের রস বের করুন। এটি দিনে ৪ বার সেবন করুন। সর্দি-কাশিতে এটি উপকারী।
আরোও পড়ুন : আয়ুর্বেদে চোখের যত্ন