অঞ্জেশ কুমার, নতুন দিল্লি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Benefits of Eating Raisins প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানের ভালো শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খাবারের বিশেষ যত্ন নেন। এ জন্য তারা বাচ্চাকে ফল, সবজি ও শুকনো ফল খাওয়ান। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের কিসমিস খাওয়ানোও উপকারী। এটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। এটি খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। শিশুদের শারীরিক বিকাশও ত্বরান্বিত হয়। শুধু তাই নয়, শিশুদের কিসমিস খাওয়ালে মস্তিষ্কের পুষ্টিও বৃদ্ধি পায়।
শিশুদের জন্য কিসমিসের সুবিধা Benefits of Eating Raisins
শারীরিক বিকাশ
ছোট বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ালে বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশ দ্রুত হয়। এটি তাদের সর্বদা ফিট এবং স্বাস্থ্যকর রাখে। কিশমিশ খাওয়ালে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ পুষ্টিও পাওয়া যায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে তাদের অবশ্যই কিসমিস খাওয়াতে হবে। ছোট বাচ্চাদের প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তার স্মৃতিশক্তি সবসময় শক্তিশালী হয়।
রক্তস্বল্পতা দূর হয়
অনেক শিশু রক্তস্বল্পতার সম্মুখীন হয়। এমন অবস্থায় তাদের কিসমিস খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। কিশমিশে রয়েছে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে। শিশুকে কিসমিস খাওয়ালে সারাদিন প্রাণবন্ত থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
ছোট বাচ্চাদের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। এমন অবস্থায় তাদের কিসমিস খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। নবজাতক শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ছোট বাচ্চাদের জ্বর থেকে রক্ষা করে
ছোট বাচ্চাদের ঘন ঘন সর্দি-জ্বরের সম্মুখীন হতে হয়। এর প্রধান কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া। এমন অবস্থায় তাদের কিসমিস খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুদের কিসমিস খাওয়ালে জ্বর ভালো হয়।
কখন শিশুকে কিসমিস খাওয়ানো শুরু করবেন Benefits of Eating Raisins
৬ মাসের পর থেকে ছোট বাচ্চারা মায়ের দুধের পাশাপাশি হালকা খাবার ও পানীয় খেতে শুরু করে। কিন্তু একটি ৬ মাস বয়সী শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল দেওয়া উচিত। আপনি যদি আপনার শিশুকে কিসমিস খাওয়াতে চান, তাহলে ৮ মাস বয়সের পরে আপনি কিসমিস খাওয়াতে পারেন।
কীভাবে বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়াবেন Benefits of Eating Raisins
শিশুদের খাদ্যতালিকায় কিসমিস অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী। এর ফলে শিশু একযোগে সব পুষ্টি পায়। আপনি আপনার শিশুকে কিসমিস জুস, পিউরি বা ম্যাশড আকারে খাওয়াতে পারেন। শিশুকে পুরো কিশমিশ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে কিশমিশ শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে। মাখা বা জুস বানানোর পরই তাকে কিসমিস খাওয়ান।
শিশুদের কিসমিস খাওয়ানোর অসুবিধা
১. শিশুদের কিসমিস খাওয়ালে শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
২. কিশমিশ শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে। এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
৩. মিষ্টি স্বাদের কারণে কিশমিশ শিশুর দাঁতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৪. কিসমিস খাওয়ালে শিশুর ওজন বাড়তে পারে। তাই বেশি পরিমাণে কিশমিশ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
৫. শিশুকে সবসময় সীমিত পরিমাণে কিশমিশ খাওয়ান। অতিরিক্ত কিশমিশ খাওয়ালে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, শিশুর যদি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে তাকে কিসমিস খাওয়ান।
আরও পড়ুন : Period pain পিরিয়ডের ব্যথায় ব্যথানাশক ওষুধ ছড়ুন, ঘরোয়া উপায়ে মিলবে দারুণ স্বস্তি
___
Published by Julekha Nasrin