Anti virus medicine side effects অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ খাচ্ছেন? অন্যান্য রোগ হতে সাবধান
সুমন তিওয়ারি, নয়াদিল্লি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : বিশ্ব জুুুুুড়ে চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ । করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন বৃদ্ধিও পাচ্ছে। মহামারী আতঙ্ক দেশ ও বিশ্বের মানুষের মনে-প্রাণে আধিপত্য বিস্তার করছে।করোনা থেকে বাঁচতে অনেকে অনেক অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ খান। আবার, এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ঋতুকালীন সর্দি বা জ্বর হলেও, করোনা বলে পরীক্ষা না করেই নিজের ইচ্ছামত অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ খাচ্ছেন।আপনি কি জানেন যে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এটি অনেক রোগের কারণও হতে পারে।
Anti Virul medicine side effects জেনে নিন অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ সেবনের অসুবিধাগুলি
অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ কি
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধগুলি আপনার শরীরকে এমন কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি, অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধগুলি একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করে।
একই সময়ে, ভাইরাস আপনার শরীরের কোষে গিয়ে আপনাকে অসুস্থ করে তোলে এবং অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধগুলি এই ধরনের ভাইরাসের বৃদ্ধি বন্ধ করতে কাজ করে। এই ওষুধগুলি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে যাতে আপনার শরীর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও শরীরে উপস্থিত সক্রিয় ভাইরাসকে দুর্বল করে দেয়।
অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ভাইরাল মধ্যে পার্থক্য
অনেক সময় লোকেরা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধকে এক হিসাবে বিভ্রান্ত করে, তবে এই দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং এই দুটি ওষুধই বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে।
অ্যান্টিবায়োটিক
এই ওষুধগুলি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া শরীরের কোষের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে, তাদের নির্মূল করা সহজ করে তোলে। একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করতে পারে, কিন্তু এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।
অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ
একটি একক ভাইরাস অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রতিটি ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রয়েছে। ভাইরাস শরীরের কোষের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ তৈরি করা কঠিন।
অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
• বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
• শরীরে অলসতা লেগেই থাকে সারাক্ষণ।
• লিভার ও কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
• গর্ভাবস্থায় শিশুর বিকাশে সমস্যা হতে পারে।
কখন অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ খাওয়া উচিত
• শরীরে চিকেনপক্স হলে।
• হারপিস জোস্টার মানে দাদ।
• এইচআইভি অর্থাৎ এইডসের জন্য।
• হেপাটাইটিস বি এবং সি-তে।
• করোনা মহামারীর শিকার হলে।