ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
Advantages and disadvantages of steam bath
কলকাতা; মুখের সৌন্দর্যের জন্য তো আমরা কত কিছুই করে থাকি। ক্লেনজ়িং, টোনিং, ময়শ্চারাইজ়িং। তার পরে ফেশিয়াল তো আছেই। জরুরি গোটা শরীরের যত্ন নেওয়াও। নিয়মিত ফুল বডি স্পা করানো সম্ভব নয় এবং তা খরচসাপেক্ষ। সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে সওনা বাথ কিংবা স্টিম বাথ। সৌন্দর্য তো বটেই, অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধানও করে দেবে এই উষ্ণস্নান।
Advantages and disadvantages of steam bath
স্টিম বাথ কী?
একটা বদ্ধ ঘরে কৃত্রিম বাষ্প থেকে গরম ধোঁয়া তৈরি করে স্টিম বাথের আয়োজন করা হয়৷ একটা ধারণা আছে, ব্যায়াম করার পরই শুধু স্টিম বাথ নেওয়া ভালো৷ এটা একেবারেই ভুল ধারণা বলে জানা যায়। যেকোনো সময়ই স্টিম বাথ নিতে পারেন৷ তবে এ জন্য স্টিম নেওয়ার আগে তেল দিয়ে বডি ম্যাসাজ করে নেওয়া জরুরি। তা না করলে বাষ্পে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়বে৷ এদিকে স্টিম বাথ ব্যথা নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বকের জন্য বাড়তি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে৷ স্টিম নেওয়ার ফলে শরীর ঘেমে যায়, যে কারণে ত্বকের ভেতরের টক্সিন বের হয়ে আসে৷ এতে করে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে৷ এ ছাড়া অয়েল ম্যাসাজের ফলে পুরো শরীরে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়৷ এরপর স্টিম নিলে শরীরের ভেতরকার চর্বি গলতে শুরু করে৷ এ জন্য ওজন কমাতেও স্টিম বাথ বেশ কার্যকর৷
Advantages and disadvantages of steam bath
স্টিম বাথের উপকারিতা-
রক্তচাপ কমায়
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৩০ মিনিটের স্টিম বাথেই নেমে যাবে রক্তচাপ । যেমন কারো রক্তচাপ যদি ১৩৭ থাকে তাহলে একবার স্টিম বাথ নিলেই রক্তচাপ নেমে যাবে ১৩০-এ। আবার স্টিম বাথ নেওয়ার আগে রক্তচাপের মাত্রা ৮২ থাকলে বাথের পর তা নেমে ৭৫ হয়ে যাবে।
Advantages and disadvantages of steam bath
রোগ প্রতিরোধ
শুধু রক্তচাপ নয়, অন্যান্য অসুস্থতার মাত্রাও কমে যাবে অনেক। পরিবার বা অফিসের চাপ আর দুশ্চিন্তা মস্তিস্ক হৃদপিণ্ড দুটোকেই অস্থির করে তোলে। স্টিম বাথ অন্যান্য জটিল রোগও প্রতিরোধ করতে পারে।
Advantages and disadvantages of steam bath
রক্ত চলাচলে সহায়তা করে
রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে পারলে কমে হৃদরোগের সম্ভাবনা, শরীরে রক্ত চলাচল সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসে। নিয়মিত স্টিম বাথের ফলে রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত এই সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে ফেলা যায়। স্টিম বাথের সময় অয়েল ম্যাসাজের ফলে পুরো শরীরে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়।
Advantages and disadvantages of steam bath
শ্বাসকষ্ট কমায়
শুধু রক্তচাপ জনিত সমস্যাই নয়, স্টিম বাথে কমবে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও। শ্বাসনালীর অভ্যন্তরে বাতাস চলাচলের জন্য স্টিম বাথের কোনো বিকল্প নেই।
Advantages and disadvantages of steam bath
ওজন কমায়
স্টিম নিলে শরীরের ভেতরকার চর্বি গলতে শুরু করে৷ এ জন্য ওজন কমাতেও স্টিম বাথ বেশ কার্যকর৷
Advantages and disadvantages of steam bath
হাড়ের শক্তি কার্যকর
কাজ করতে করতে পায়ের পাতা ঝিমঝিম করে উঠতে পারে, এছাড়া দেখা দিতে পারে মেরুদণ্ডের ব্যথা৷ আবার বাইরের ধুলো বালি আর রোদে মাইগ্রেনের ব্যথা হলে স্টিম বাথ দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
Advantages and disadvantages of steam bath
জরুরি সতর্কতা
- স্টিম হোক বা সওনা— নেওয়ার আগে এক গ্লাস জল খাবেন, যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়। বেরিয়েও এক গ্লাস জল খান।
- বাথ নেওয়ার আগে ও পরে অ্যালকোহল সেবন করা যাবে না। কোনও রকম ওষুধও তখনই না
খাওয়া উচিত। - গর্ভবতী মহিলা ও যাঁরা হৃদরোগে ভুগছেন, তাঁদের সওনা-স্টিম এড়িয়ে চলা উচিত।
- বাথরোব বা টাওয়েল পরেই এই বাথ নেওয়া উচিত। টাওয়েল, শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পুরো চুল ঢেকে রাখুন।
- স্টিম-সওনা দু’ক্ষেত্রেই শরীরের তাপমাত্রা খানিক বৃদ্ধি পায়। তাই আগে-পরে শাওয়ার নেওয়া জরুরি। তবে গরম থেকে বেরিয়েই শাওয়ার নেবেন না। দু’-তিন মিনিট ঘরের তাপমাত্রায় থেকে শাওয়ার নিন। স্নান সেরে বেরিয়ে ফ্রেশ লাগবে। স্টিম বা সওনা নেওয়ার পর পরই রোদে বেরোবেন না। Advantages and disadvantages of steam bath
- শাওয়ার নেওয়ার সময়ে বডি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এতে শরীরের ময়লা, মৃত কোষ আরও ভাল ভাবে উঠে যাবে। ঝকঝকে ত্বক পাবেন। শাওয়ার নেওয়ার পরে গা শুকনো করে মুছে ময়শ্চারাইজ়ার লাগাতে পারেন।
- অনেকের ধারণা, সওনা বা স্টিম নিলে ত্বকের উপরে কালো ছোপ পড়ে। তবে এই ধারণা ভুল। ১০ মিনিটের বেশি গরমের মধ্যে থাকা এমনিতেই উচিত নয়। স্পর্শকাতর ত্বক অনেক সময়ে লাল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা জলে স্নান করলে, তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে যাঁদের গরম থেকে ত্বকে অ্যালার্জি বেরোয়, তাঁরা উষ্ণস্নান এড়িয়ে চলুন।
Advantages and disadvantages of steam bath
আরও পড়ুন: Benefits Of Eating Cucumber; প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
আরও পড়ুন: Basanti Pulao Recipe; বাঙালির প্রিয় বাসন্তী পোলাও রেসিপি
আরও পড়ুন: Knee Pain Remedies; হাঁটুর ব্যথায় কুপোকাত? জেনে নিন উপায়
Publish By Abanti Roy