Symptoms of Omicron আপনি ওমিক্রন আক্রান্ত নন তো ? উপসর্গ গুলি জানুন
মুক্তা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ওমিক্রন। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। অতীতে করোনার অন্যান্য রূপ থেকে বেশ আলাদা এই ভাইরাস। টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ওমিক্রনের উপসর্গগুলি প্রাথমিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে আপাতভাবে এগুলি সর্দি এবং কাশির লক্ষণগুলির মতোই।
ওমিক্রন ভাইরাসটি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও ওমিক্রনের লক্ষণগুলি ডেল্টার তুলনায় হালকা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করেছে।
ওমিক্রন ভাইরাসটি সম্পর্কে এবং এই ভাইরাসে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এই ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে নতুন।
Symptoms of Omicron ভাইরাসের উপসর্গ গুলি সম্পর্কে জানুন
ওমিক্রন ভাইরাসের লক্ষণ
নতুন মিউট্যান্ট দ্বারা সংক্রামিত হলে, ব্যক্তির মধ্যে কমবেশি এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।
১. মাথা যন্ত্রণা
২. কাশি
৩. সর্দি
৪. ক্লান্তি
৫. গলা যন্ত্রণা
৬. জ্বর
৭. পেশী যন্ত্রণা
৮. কনুই, হাঁটু, কোমরে যন্ত্রণা
সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়
কোভিড নিয়মগুলি সহজ করার সঙ্গে সঙ্গে , দেশজুড়ে মানুষের চলাচল আবার শুরু হয়েছে আগের মতই। আপনি যদি নিয়মিত বাইরে বের হন এবং করোনা সংক্রান্ত কোনও নিয়ম মেনে না চলেন তাহলে আপনার সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। করোনা সংক্রমিত হলে ৪-৫ দিনের মধ্যে লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায়। কিছু ক্ষেত্রে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। একজন ব্যাক্তি তার করোনা সংক্রমণের লক্ষণ গুলি প্রকাশ পাওয়ার ২-৩ দিন আগে এবং সংক্রমিত হওয়া থেকে সেরে ওঠার ১০ দিন পর পর্যন্ত অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। এমনকি ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও সংক্রমিত হওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে যে কোন সময় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ,ওমিক্রনের লক্ষণ গুলি দ্রুত প্রকাশ পায় না।
সংক্রমণ রুখবেন কীভাবে
১. আপনি যদি এমন কারো সংস্পর্শে এসে থাকেন যার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তাহলে অবিলম্বে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করুন।
২. সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। এবং নিজের করোনা পরীক্ষা করান।
৩. আইসলেশনে থাকার সময় আপনি যদি কোনো করোনা উপসর্গ আপনার মধ্যে লক্ষ্য করেন তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনি সতর্ক হলে আপনার পরিবার সতর্ক হবে। আপনার পরিবারের সতর্কতার মধ্য দিয়ে আপনার প্রতিবেশী, আত্মীয়রা সতর্ক হবে। এই ভাবে আমাদের নিজেদের সার্বিক সহযোগিতা এবং সতর্কতার মধ্য দিয়ে এই মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে আটকাতে পারি ।