পলাশ চক্রবর্তী, হুগলি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নেই পরিকাঠামো, বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স– চন্দননগর কর্পোরেশন অন্যতম বড় সমস্যা ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ন্যূনতম পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও কর্পোরেশন পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ‘দিশারী’, তারও পরিকাঠামো তথৈবচ। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মেশিনারিস আছে তাতে ঝুল পড়ছে, ডাক্তার নেই, নার্স নেই, টেকনিসিয়ান নেই। ফলত বাইরে থেকে ঝা চকচকে হলেও হাসপাতালের পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে।ন্যূনতম পরিষেবা মানুষ এখানে পায় না, কোভিড পরিস্থিতিতে যে পরিষেবা পেয়েছে সেখানে রেড ভলেন্টিয়ারদের কথা মানুষ বলছেন। তারা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে মহকুমা হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছিল কিন্তু তখন সাধারণ ভাবে যে সব মানুষ অসুস্থ হতেন তাদেরকে যেতে হত চুঁচুড়া হাসপাতালে।
চন্দননগর কর্পোরেশনের অন্যতম বড় সমস্যা ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো Health system of Chandannagar municipality
চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের রোগীদের ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। চন্দননগর, তারকেশ্বর, হরিপাল, সিঙ্গুর এই বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে মহকুমা হাসপাতাল। তাই দূরদূরান্ত থেকে রোগী এলেও পরিকাঠামোর অভাবে কলকাতা রেফার করে দেওয়া হয়।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ , কোনও কিছুর মেনটেনেন্স নেই, দিশারীর চিত্রও একই। এক সময় অল্প খরচে মানুষ
পরিষেবা পেতেন দিশারীতে। আজ আর সেইসব পরিষেবা হয় না। যা হয় তা আউটডোরে ন্যূনতম চিকিৎসা। যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।কিন্তু বিরোধী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের তির ভেঙে পড়া পুরবোর্ডের দিকে।
———
Published by Subhasish Mandal