ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা : Know The Tradition Of Celebrating New Year দেশ ও বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালের আগমনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আজ ২০২১ সালের শেষ দিন এবং আগামীকাল থেকে ২০২২ সাল শুরু হবে।
আপনাদের শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে যে কয়েক শতাব্দী আগেও নববর্ষ উদযাপন করা হত না ১ জানুয়ারিতে। হ্যাঁ, এটা একদমই সত্যি কথা। আসলে ১ জানুয়ারির দিনটাকে নতুন বছর উদযাপন করা হবে, তার সূচনা শুরু হয়েছিল ১৫৮২ সালের ১৫ অক্টোবরে। এর আগে ২৫ মার্চ, আবার কখনও ২৫ ডিসেম্বরকে নববর্ষের দিন হিসাবে উদযাপন করা হত।
রাজা নুমা পোনপিলাস পরিবর্তন করেছিলেন (Know The Tradition Of Celebrating New Year)
রোমের রাজা নুমা পনপিলাস ১৫৮২ সালে রোমান ক্যালেন্ডারে এই পরিবর্তন করিছেলন। এরপর থেকেই জানুয়ারিকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। আগে মার্চ মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত।
মার্চের নামকরণ করা হয়েছে মঙ্গল গ্রহের নামে। রোমের লোকেরা মঙ্গলকে যুদ্ধের দেবতা মনে করেন। প্রথম ক্যালেন্ডার যেটা তৈরি করা হয়েছিল তাতে মাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০। এক বছরে ৩১০ দিন ধরা হয়েছিল। আর সপ্তাহ ধরা হত ৮ দিনে।
কীভাবে বছরে ৩৬৫ দিন ধরা হয়েছিল (Know The Tradition Of Celebrating New Year)
ক্যালেন্ডারে বছরে ৩৬৫ দিনের যে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল তা নাকি রোমান শাসক জুলিয়াস সিজার করেছিলেন। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বছর শুরুর ঘোষণাটা করেছিলেন তিনিই। এরপর থেকেই বছরে ১২ মাস চালু হয়।
পৃথিবী ৩৬৫ দিন এবং ৬ ঘণ্টায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাথে দেখা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন জুলিয়াস সিজার। তারপর থেকেই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছরে ৩৬৫ দিন তৈরি করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ১৫৮২ সালে তৎকালীন বিখ্যাত ধর্মীয় যাজক সেন্ট বিড বলেছিলেন যে বছরে ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা এবং ৪৬ সেকেন্ড থাকে। এরপর রোমান ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে নতুন ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এরপর থেকেই নতুন বছর পালিত হতে থাকে ১ জানুয়ারিতে।
আরও পড়ুন : Terrible fire under Alipurduar flyover আলিপুরদুয়ার ফ্লাইওভারের নীচে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড, জীবন্ত দগ্ধ ১
জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলে পর্যটকরা উদযাপন করতে ভিড় জমায় (Know The Tradition Of Celebrating New Year)
বড়দিনের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলের পর্যটকেরা নববর্ষ উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করে। তা সিমলা হোক বা কুল্লু-মানালি, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাম বা গুলমার্গ। নতুন বছর উদযাপনের জন্য পর্যটকদের একটা টান রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে।
মজার ব্যাপার হল, এখানে প্রচুর তুষারপাত হয়েছে এবং নতুন বছরের কয়েকদিন আগে থেকেই পাহাড়ের আবহাওয়া পরিষ্কারও হচ্ছে। এরফলে পর্যটকরা খুব খুশি। বিপুল সংখ্যায় এই দুটি রাজ্যে ভিড়ও জমিয়েছেন। হোটেল মালিকরাও ভালো আয়ের আশা করছেন। করোনা ও ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে ভিড় মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত স্থানীয় প্রশাসনও।
—————-
Published by Subhasish Mandal