প্রসেনজিৎ রাহা, শিলিগুড়ি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ডুয়ার্সজুড়ে ভাল্লুকের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। কখনও মেটেলি চা বাগান তো কখনও লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে ভাল্লুক। কোথাও আবার ভাল্লুক ঘিতে আতঙ্ক ছড়িয়ছে। কিন্তু আতঙ্ক ছড়ালেও ভাল্লুকের দর্শন মেলেনি। গত কয়েকদিন আগে জোড়া ভালুক দর্শনকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানের টন্ডু ডিভিশনে। সেখানে একসাথে দুটি ভালুক দেখতে পান নিজেদের বাড়ির গরু খুঁজতে আসা আশ্রাম ওঁরাও নামে বাগানের এক যুবক। তিনি ভয়ে চিৎকার করলে আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলটি বাগানের ১০ নম্বর সেকশন নামে পরিচিত।
ডুয়ার্সজুড়ে ভাল্লুক আতঙ্ক (Bear panic across Dooars)
স্থানীয়রা জানিয়েছেন পরে ভালুক দুটি পঞ্চায়েতের পাকা রাস্তা পেরিয়ে বাগানের অন্য সেকশন হয়ে লাগোয়া খেরকাটার জঙ্গলের দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতরের খুনিয়া ও ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা। তাঁরা দিনভর সেখানেই থাকেন। বিকেলে জঙ্গলেও ভালুকের খোঁজ চলে, তবে সন্ধান মেলেনি। ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার প্রণব দাস বলেন, ‘এদিন সকালে ফুট প্রিন্ট পাওয়া গেছে। বনকর্মীরা নজর রেখে চলেছেন’। একইরকম ভাবে গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানেও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা তল্লাশি চালিয়েও ভাল্লুকের সন্ধান পায়নি। এরই মধ্যে দুরামারি এলাকা থেকে একটি ভাল্লুক ও মালবাজার থেকে অপর একটি ভাল্লুক ধরা পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই অন্য এলাকায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তাতে সেখানেও ভাল্লুক থাকতে পারে বলে দাবি উঠেছে। বনকর্মীরাও সাধারণ মানুষের দাবিকে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। সেই কারণেই ভাল্লুকের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছে বনকর্মীদের দল।
———–
Published by Subhasish Mandal