আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Case) সেই সেমিনার হলে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার প্রতিরোধের কোনও চিহ্নই মেলেনি! কেন্দ্রীয় ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিনার হল তো দূরের বিষয়, যে কাঠের পাটাতনের বিছানার উপর তরুণীর দেহ শায়িত ছিল, সেখানেও প্রতিরোধের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
কী জানা গিয়েছে?
কেন্দ্রীয় ফরেনসিক রিপোর্টে (RG Kar Case) নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেমিনার হলে নির্যাতিতার সঙ্গে আততায়ীর সম্ভাব্য ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, সেমিনার রুমের ভিতরে অন্য কোনও স্থানেও তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ৯ অগাস্ট সেমিনার রুমে দেহ উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার। এই ঘটনার ৫ দিন পরে গিয়েও একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই সব নমুনার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের জামিন, ফের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল
আরজি করের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর প্রথম থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বড় অংশ অভিযোগ করছিলেন, এই ঘটনায় অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।
এমনকী, হাসপাতালের অন্য জায়গায় তরুণীকে ধর্ষণ-খুন করার পরে সেমিনার রুমে দেহটি এনে পরিকল্পনামাফিক প্লান্ট করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: চার্জশিটের অভাবে জামিন সন্দীপ-অভিজিতের, CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
এদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) তথ্য লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেতেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতা বাবা-মা। সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তাঁরা। এবার সিবিআই তদন্তের প্রতি কার্যত আস্থা হারিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে নতুন করে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আদালত মামলা দায়েরের অনুমতিও নাকি দিয়েছে।