কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোমবার তিনি অনুরোধ করেন যে, ভারতে বসবাসের অনুমতি যেন বৃদ্ধি করা হয়। ভারতে তাঁর বসবাসের সরকারি অনুমতি পুনর্নবীকরণের ইতিবাচক অগ্রগতির খবর পেয়ে অমিত শাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালেন তসলিমা। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তায় অমিত শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
কী লিখেছেন তসলিমা?
তসলিমা লেখেন, ‘অমিত শাহজি নমস্কার। আমি ভারতে আছি, কারণ এই মহান দেশকে আমি ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এদেশই আমার দ্বিতীয় ঘরবাড়ি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে আমার বসবাসের অনুমোদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি। তাই আমি খুব চিন্তায় রয়েছি। এই অবস্থায় আপনি যদি আমাকে এখানে থাকার অনুমতি দেন, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।’
.@AmitShah Dear AmitShahji 🙏Namaskar. I live in India because I love this great country. It has been my 2nd home for the last 20yrs. But MHA has not been extending my residence permit since July22. I'm so worried.I would be so grateful to you if you let me stay. Warm regards.🙏
— taslima nasreen (@taslimanasreen) October 21, 2024
উল্লেখ্য, বিতর্কিত সাহিত্য রচনার কারণে বারবারই সমস্যা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তসলিমা নাসরিনকে। হাসিনা সরকার তাঁকে ১৯৯৪ সালে গ্রেফতার করে। তারপরেই দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয় তাঁকে। সুইডিশ নাগরিকত্ব থাকলেও, ভারতেই বসবাস করছেন তসলিমা নাসরিন। এর আগেও তিনি ভারতে তাঁর রেসিডেন্সি পারমিট নিয়ে কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Classical Language: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র
২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতাতেই থাকতেন তিনি। কিন্তু তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর মৌলবাদীদের হুমকির মুখে বাংলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ২০১১ সাল থেকে জয়পুরেই থাকতেন তসলিমা, পরে দিল্লির বাসিন্দা হন।