এবার থেকে একসঙ্গেই হবে লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচন, বছর বছর আর নির্বাচন নয়। এবার ‘এক দেশ-এক নির্বাচনে’ সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটির প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে এই প্রস্তাবনা পেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
কী জানা গিয়েছে?
প্রসঙ্গত, ‘এক দেশ-এক নির্বাচন’-এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। এক্ষেত্রে ৬২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩২টি দল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-কে সমর্থন করে এবং ১৫টি দল সমর্থন করেনি। বাকি ১৫টি দল কোনওরকম জবাব দেয়নি।
আরও পড়ুন: PM Kisan 18th installment: কবে পিএম কিষাণের টাকা পাবেন কৃষকরা জানেন?
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। গত মাসে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি এই বিষয়ে বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রতি বছরই দেশে কোনও না কোনও নির্বাচন হয়, যা দেশের অগ্রগতির পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, বিভিন্ন মঞ্চে আলোচনার পরেই কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের মতে, মোদী সরকার কার্যত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলে অভিযোগ তাদের।