বিগত ছয় মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে জীবনমরণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু অবশেষ হার মানতে হল। চলে গেলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল মোদী। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ‘সুশীল মোদীর আকস্মিক প্রয়াণে তিনি দুঃখিত। বিহারে বিজেপির উত্থান এবং বিকাশে সুশীল মোদীর অবদান অনস্বীকার্য। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি নিজের এক আলাদাই পরিচিতি তৈরি করেছিলেন।’
রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই। ১৯৭৩ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০-২০০৪ সালের মধ্যে তিনবার বিধায়ক হন তিনি। বিহারের বিরোধী দলনেতার ভূমিকাও পালন করেন। ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও সামলান তিনি।
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দু’বার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার সামলেছেন সুশীল। বিজেপি-জেডিইউ সরকারের অন্যতম মুখও ছিলেন তিনি। বিহারে ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চার দফায় জোটসঙ্গী বিজেপি নেতা সুশীলকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাশে পেয়েছিলেন নীতীশ কুমার।
তবে নিজের অসুস্থতার কারণে লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সুশীল মোদূ। এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। তাঁর প্রয়াণে অমিত শাহ থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে, অশ্বিনী চৌবে, শিবরাজ সিং চৌহান প্রমুখরা শোকপ্রকাশ করেন।