লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বঙ্গ তথা গোটা দেশের রাজনীতির আঙিনা সরগরম। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি হোক বা প্রচার, কোনও পক্ষই কাওকে এতটুকু জমি ছাড়তে নারাজ। আর এই নির্বাচনী আবহেই বাংলায় প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর এই নিয়ে নবন বারের জন্য বঙ্গে এলেন মোদী। শনিবার রাতেই কলকাতা এসে পৌঁছন তিনি। রাজভবনে থেকেই পর পর চারটি সভা করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে সভা করেন। এই সভা শেষে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা ছিল তাঁর। তারপর আরামবাগে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগরের সমর্থনে সভা ছিল তাঁর। শেষের সভাটি ছিল হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার সভা ছিল তাঁর। আগামী ২০মে এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট রয়েছে।
রবিবার বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আজ ভাটপাড়া থেকে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে শুরু করে সিএএ. তোষণের রাজনীতি, দুর্নীতি, এসবই উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে ভাটপাড়ার জনসভা থেকে মোদী বলেন, ‘কয়েক বছর আগে বাংলার তৃণমূল সকারকে নিয়ে সিএজি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়, তৃণমূল সরকার ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটির কোনও হিসেবই দেয়নি। এই টাকা কোথায় খরচ হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। এটা তো দুর্নীতি। এই দল কত বড় দুর্নীতিবাজ তার সবথেকে বড় নিদর্শন হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। কীভাবে শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য রেট কার্ড বানিয়েছিল রাজ্য সরকার। বাজারে বিক্রি হয়েছিল এই সরকারি চাকরি। রাজ্যে টাকা নিয়ে পদ বিক্রি করা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের এই অবস্থা করে রেখেছে তৃণমূল।’