নিঃশব্দেই শহরে ফিরলেন তিতাস সাধু। বুধবার সকালে কলকাতা বিমান বন্দরে নেমেছেন এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব ১৯ , অনূর্ধ্ব ২৩ দলের হয়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের জন্য সিনিয়র দলের প্রবেশ পথ খুলে গেছে হুগলির বঙ্গ তনয়ার সামনে। এশিয়াডের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন।
বুধবার সকালে কলকাতা বিমান বন্দরে যখন নামলেন তিতাস তখন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিল না সিএবির কোনও প্রতিনিধি। মেয়েকে নিতে আসেন তিতাসের মা-বাবা। বাংলার মুখ উজ্জ্বল করা তিতাসের জন্য একটা ফুলের তোড়াও এগিয়ে দিলেন না কেউ। এর আগে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে ফিরে আসার পর তিতাসকে নিয়ে দেখা গিয়েছিল উন্মদনার চিত্র।
যদিও বুধবার চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। সিএবি বা রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা গেল না সোনার মেয়েকে সংবর্ধনা জানাতে। বিমান বন্দরে নেমে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই গাড়িতে উঠে বাড়ির পথ ধরলেন তিতাস। প্রশ্ন উঠছে দেশের সোনা জয়ের অন্যতম কারিগর তিতাসের একটু অর্ভ্যর্থনাও কি প্রাপ্য ছিল না? ওয়ান ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, ‘বিসিসিআইয়ের এজিম থেকে সদ্য কলকাতা ফিরেছি। তাই কিছু বলতে পারব না।’ সচিব নরেশ ওঝা ফোন ধরেননি। আরও এক সচিব দেবব্রত দাস কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিলেন এশিয়ান গেমসের ফাইনালে আজ হাংঝৌয়ে সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিতাস ১টি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে নিলেন তিন উইকেট। ফাইনালে ম্যাচেই বার বার প্রজ্জ্বলিত হন তিতাস। এই প্রসঙ্গে তিতাস বলেন, ‘আমি নিজে একটা মাইন্ডসেট তৈরি করি, সেই অনুসারে বোলিং করার চেষ্টা করি।’
সাফল্যের দিনে তিতাসের মুখে আইকন ঝুলন গোস্মামীর কথা। বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে তিতাস বলেন, ‘ঝুলন দি-র থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি্। বাংলা দলের শিবিরে ওনাকে কাছ থেকে পেয়েছি। আগামী দি্নে আরও ভালো খেলাই লক্ষ্য।’২৯ সেপ্টেম্বর তিতাসের জন্মদিন। ১৯ বছর বয়স হবে তাঁর। এর মধ্যেই দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপের এবার এশিয়ান গেমস সোনা জেতা হয়ে গিয়েছে।। তবে বড় কোনও উৎসবের পরিকল্পনা আমাদের নেই। কয়কদিনের মধ্যেই বাংলা দলে অনুশীলনে যোগ দেবেন তিতাস। তবে আপাতত কিছুদিন ছুটির আমেজে তিতাস।