সিবিআইকে তিরস্কার করলেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। সিবিআই এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করছে, যা একেবারেই কাম্য নয় বলে নির্দেশনামায় জানিয়েছেন বিচারক অর্পণ চ্যাটার্জী।
এর আগে এই মামলায় যৌথভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনারকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে সিবিআই কোনও উদ্যোগ নেয় নি বলে অভিযোগ করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার।
খবর সূত্রে জানা যায়, ‘কুন্তল চিঠি নিজে লিখেছিলেন নাকি তাঁকে দিয়ে লেখানো হয়েছে ? শহিদ মিনারে অভিষেকের দাবির পরের দিনই কীভাবে একই কথা বললেন কুন্তল?’, জেরায় সে কথাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা । অভিষেক ব্যানার্জীর সিবিআই-এর কাছে দেওয়া বয়ানও রাখা হবে সামনে। অভিষেকের বয়ান এবং কুন্তলের লেখা চিঠির ভিত্তিতেই জেরা করবে সিবিআই। কুন্তলের চিঠি নিয়ে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআই। চিঠি নিয়ে কিছুই জানা নেই, অভিষেকের বয়ানের সূত্র ধরে কুন্তলকে জেরা করা হয়।
প্রসঙ্গত বলা হয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সম্প্রতি আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করে কুন্তল ঘোষ বলেছিলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলা মানে আমাদের বুক চওড়া হওয়া। দলের নেতাদের নাম বলতে বলপূর্বক চাপ দিচ্ছে এজেন্সি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে’, এই দাবি করেছিলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
এরপরই অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় ও আলিপুর আদালতে কুন্তল ঘোষের অভিযোগপত্র। ‘কুন্তল ঘোষের অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত ও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না’, কুন্তল ঘোষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জানিয়েছিল সেই সময় আদালত। হেস্টিংস থানার অভিযোগ পত্র আদালতে পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যখন একদিকে এই ঘটনা। তখন অন্য দিকে কুন্তল ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ‘১০০ নয়, ৫০০ কোটির খেলা, কুন্তল একাই ৫০০ কোটি তুলেছে। অভিষেক ব্যানার্জীর নাম ভাঙিয়ে টাকা তুলেছে। ‘হাওয়ালার মাধ্যমে ও টাকা বাইরে পাঠিয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও প্রকার চাপ দেয়নি। লক আপ থেকে আদালতে যাওয়ার পথে এই বিস্ফোরক মন্তব্যটি করেন তাপস মণ্ডল।