কৌশিক দাস, কলকাতা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: TMC Leader Anubrata Mandal তৃণমূলের কাছে অনুব্রত মণ্ডল এখন ‘পাজি’। অথচ কদিন আগেই বীরভূমের ‘কাজি’ ছিলেন তিনি। প্রথমবারের জন্য আসানসোল লোকসভা দখলের উদ্দেশ্যে তাঁকেই ঘুঁটি সাজানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গরু পাচার মামলায় সিবিআই অনুব্রতকে তলব করতেই সবটা কেমন যেন বদলে যায়। শনিবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলে দিয়েছেন, এটা অনুব্রত-সিবিআইয়ের মধ্যের ব্যাপার, এখানে কিছু বলার নেই! অর্থাৎ দলের সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিপদে পড়তেই তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়ানো শুরু করেছে তৃণমূল। এখন তিনি ‘কাজি’ থেকে ‘পাজি’ হয়ে গেছেন দলের কাছে!
তৃণমূলে অবশ্য এই ঘটনা নতুন নয়। ২০১১ সালে তারা প্রথমবারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় দোর্দণ্ডপ্রতাপ মাওবাদী নেতা কিষেনজির। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, দীর্ঘ বাম জমানার অবসান ঘটাতে কিষেনজি নানানভাবে বর্তমান শাসক দলকে সাহায্য করেছেন। অর্থাৎ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কাজ মিটেছে, তাই কিষেনজি তৃণমূলের কাছে ‘কাজি’ থেকে ‘পাজি’ হয়ে যান! তবে কি অনুব্রত মণ্ডলেরও রাজনৈতিকভাবে সেই অবস্থা হতে চলেছে? TMC Leader Anubrata Mandal
শনিবার বিকেলে গরু পাচার মামলায় এবং রবিবার সকালে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। যদিও শনিবার সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দেননি অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না কেষ্ট! এবার সিবিআই কী করে সেটাই দেখার।
TMC Leader Anubrata Mandal
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique is getting stronger in politics একা জিতেও রাজনীতিতে অনন্য নওশাদ
Published by Subhasish Mandal