সাম্যজিৎ ঘোষ,কলকাতা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা:HC On Alipore Jail: আপাতত আলিপুর সেন্ট্রাল সংশোধনাগারের কোনও নির্মাণ ভাঙা যাবে না। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্যকে একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করেছেন। ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী সংরক্ষণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্য সরকার আলিপুর জেলে প্রায় ১০৮ একর জমিতে একটি জাদুঘর স্থাপনের প্রস্তাব করেছিল। বন্দীদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই ঐতিহ্যবাহী ভবনে বিজি প্রেসের একটি অফিসও রয়েছে। সংশোধনাগার ভেঙে জাদুঘর করার লক্ষ্যে যে হেরিটেজ প্রেসকে রাজ্যের তরফে সরস্বতী প্রেসে স্থানান্তর করা হবে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য অনেক নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর আগে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে এই নিয়ে। সেখানে আদৌ কোনো জাদুঘর হবে কিনা তা নিয়ে বাদীরা প্রশ্ন তোলেন। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আপাতত ওই এলাকায় কোনো নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে না। ১৬ মে মামলার আবার শুনানি হবে। হিডকো হলফনামা জমা দেবে।
প্রসঙ্গত, আলিপুর জেলের এই নির্মাণের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। উভয়ের একই বক্তব্য ছিল। ভবনটি প্রায় ১০৮ একর জমির উপর অবস্থিত। সম্প্রতি রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে এখানে দুটি সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং জাদুঘর করা হবে। এরপর বন্দীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। রাজ্য সরকার বলেছিল সেখানে দুটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। তবে দুটি জাদুঘরে কী থাকবে তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জাদুঘর তৈরির পর বাকিদের নিয়ে কী করা হবে তা এখনও ঠিক করেনি রাজ্য প্রশাসন। বাদীরা বলেছেন, এখানে কী ঘটছে তার বিস্তারিত তথ্য রাষ্ট্রকে দিতে হবে। কারণ তারা অনুমান করছে, এখানে আদৌ কোনো জাদুঘর থাকবে না।
১৯০৬ সালে নির্মিত আলিপুর সংশোধনমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ইটের পিছনে ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে জাদুঘর তৈরির অজুহাতে এই সংশোধনাগার সুবিধামত কি সত্যিই ভেঙে ফেলা যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন বাদীপক্ষ। ওই দিন শুনানি চলাকালে বাদীরা ছবিসহ সংশোধনাগারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করে, প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঐতিহ্যবাহী এই ভবনের প্রায় একাংশ ইতিমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাদীদের পূর্ণ বক্তব্য শোনার পর আদালত নির্দেশ দেয় যে আলিপুর জেলের কোনও ভবন আপাতত ভেঙে দেওয়া চলবে না।
Published by Samyajit Ghosh