অমিত সরকার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কোচবিহার: Unseasonal rains hurt watermelon farmers দুই-তিনদিনের রাতের টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের মহিষকুচি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালবাড়ি এলাকার তরমুজ চাষীরা। মরশুমী এই ফলের চাষ করেই সারা বছর জীবীকা নির্বাহ করে কাঠালবাড়ি এলাকার বেশকিছু তরমুজ চাষী। বৃষ্টিতে এলাকার রায়ডাক নদীর জল বেড়েছে। জল অনেকটাই চলে এসেছে তরমুজ চাষের বালি চড়ে।
জানা গেছে এলাকার চাষিরা ঋণ করে করেছে তরমুজ চাষ। এসেছে ফলনও। কুড়ি বিঘা তরমুজ চাষের জমির বেশিরভাগ অংশের গাছ জলের নীচে। মাথায় হাত চাষীদের। তাঁদের বক্তব্য সরকারি সাহায্য না পেলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে। এক তরমুজ চাষী অমূল্য দাস বলেন ২৫ হাজার টাকা কেজি তরমুজের বীজ। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রায়ডাক নদীর চরে তরমুজ চাষ করেছি। মুঠি সার এবং সরকার থেকে পাওয়া কিছু সার দিয়ে চাষ করেছি। ফলন এসেছে। কিন্তু দুই দিনের রাতের বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে চর এলাকায় চলে এসেছে।
বেশিরভাগ তরমুজ গাছ জলের তলায়। কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। এখন সরকারি সাহায্য ছাড়া উপায় নেই। অন্য এক তরমুজ চাষী অজিত কুমার দাস বলেন ছয় বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছি। এলাকায় কিছু চাষী এক হয়ে এবারও তরমুজ চাষ করেছি। ফলনও ভালই এসেছিল। পাইকারদের সাথে যোগাযোগ চলছিল। হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আসায় মাথায় হাত। অমূল্যর দাবি সাথে অজিত দাবি করে সরকারি সাহায্যের।
Published by Samyajit Ghosh