অমিত সরকার, কোচবিহার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: History of Negligence in Cooch Behar কোচবিহার রাজবংশের রাজাদের বনে জীবজন্তু শিকার করতে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত একাধিক বাসস্থানের বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা। আজও সেই বাসস্থানগুলি কোচবিহার জেলার অন্তর্গত রামপুরে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বমহিমায় রাজ আমলের পুরনো স্মৃতি আঁকড়ে। জায়গাটি কোচবিহার জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত হলেও অধিকাংশ মানুষেরই অজানা এই ইতিহাস। তাই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। History of Negligence in Cooch Behar
জানা যায়, আজ থেকে কয়েকশো বছর আগেও কোচবিহার রাজবংশের একাধিক রাজা হাতির পিঠে চেপে সৈন্যসামন্ত নিয়ে ভুটান-সহ অসম লাগোয়া একাধিক জঙ্গলে যেত শিকার করতে। হরিণ, বাঘ, শিকার করতে যাওয়ার আগে ও পরে তাঁরা রাত্রিযাপন করতেন অসম-বাংলা সীমানা ঘেঁষা কোচবিহার জেলার অন্তর্গত রামপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানেই প্রায় ৫৫ বিঘা জমির উপর তৈরি ঘরে বিশ্রাম নিতেন রাজারা। History of Negligence in Cooch Behar
পরবর্তীতে রাজার তৈরি সেই বাসস্থানগুলির দখল নেয় ব্রিটিশ সাহেবরা। ব্রিটিশদের শাসনকালে সেই ৫৫ বিঘা এলাকা জুড়ে হত নীল চাষ। সে সময় ওই রামপুর এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল ও তাঁতের ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন ইংরেজ সাহেবরা। এমনকী এলাকায় গড়ে তোলেন এক বিশাল আকার দিঘি। যেখানে মাছ ধরার পাশাপাশি স্নান করতেন ইংরেজ সাহেবরা। যা ‘সাহেবের দিঘি’ নামেই আজও পরিচিত। History of Negligence in Cooch Behar
স্থানীয়রা জানান, পরবর্তীতে বাম আমলে সাহেবদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় রামপুর থেকে। সেই থেকে সেই ঘরগুলিও আজও ‘সাহেবের ঘর’ নামে পরিচিত থাকলেও ঘরগুলি জরাজীর্ণ ও ভগ্নদশা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরগুলিতে প্রবেশ করতেই যেন গা ছমছমে একটা ব্যাপার। History of Negligence in Cooch Behar
সেই ঘর তৈরির কাঠ, রাজ আমলের ব্যবহৃত সরঞ্জাম, সিন্দুক আজও পড়ে রয়েছে সেখানে। সেই ৫৫ বিঘা এলাকা বর্তমানে রাজ্য সরকারের অধীনে। এবার জরাজীর্ণ ঘরগুলি মেরামতি করে কোচবিহার রাজ আমলের ইতিহাস তুলে ধরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি তুলল স্থানীয়রা। History of Negligence in Cooch Behar
History of Negligence in Cooch Behar
————
Published by Subhasish Mandal