প্রসেনজিৎ রাহা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, শিলিগুড়িঃ চিতাবাঘ মেরে রান্না করে হই-হুল্লোড় পার্টি। ঘটনায় গ্রেফতার তিন যুবক। শনিবার ঘোষপুকুর বনদপ্তর ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পাঠায় ওই তিনজনকে।
কথায় বলে, সব জিনিসেরই ভালো খারাপ দুটো দিক থাকে। সেই প্রবাদই যেন সত্যি হল। সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি মাধ্যম, যার ভাল খারাপ দুটো দিকই বর্তমান। কেউ এর মাধ্যমে নানান দুস্কৃতিমূলক কাজে গতি দিচ্ছে। আবার কেউ এই মাধ্যমকেই সূত্র করে নানান দুস্কৃতিমূলক কাজে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়া।
Leopard cooked and eaten চিতাবাঘ মেরে রান্না করে হই-হুল্লোড় পার্টি ঘটনায় গ্রেফতার তিন যুবক
ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল মৃত চিতাবাঘের
২ সপ্তাহ আগে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল একটি ছবি। যেখানে ধরা পড়েছিল, একটি মৃত চিতাবাঘের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন কয়েকজন যুবক। যুবকদের পোস্ট করা ওই ছবি ঘিরে নানা জল্পনা ঘুরছিল নেটিজেনদের মধ্যে।
চিতাবাঘটি কোথা থেকে এল, কীভাবে তারা ছবি তুললেন, সেই প্রশ্নই ঘুরছিল প্রশাসনিক মহলে। এরপরই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে ঘোষপুকুর বনদপ্তর। তদন্তের স্বার্থে ছবিতে যে যে যুবকদের দেখা গিয়েছিল, একে একে তাদের সকলকে গ্রেফতার করে বনদপ্তরের কর্মীরা। শুরু হয় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। নিমেষে উদঘাটন হয়ে গেল রহস্যেরও।
Leopard cooked and eaten মৃত বাঘটি নিয়ে গিয়ে খাওয়া হয়েছিল!
ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, চা-বাগানে মরা অবস্থায় চিতাবাঘটি পেয়েছিল তারা। এরপর মৃত বাঘটি নিয়ে গিয়ে খাওয়া হয়েছিল। তবে বাঘটি যে বনবিভাগে দিতে হবে, তা তারা জানতেন না বলেই দাবি করেছেন। এইনিয়ে ঘোষপুকুর বনদপ্তরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান, পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের জন্য টিম গঠনের পরিকল্পনা চলছে। চিতাবাঘের দেহের উদ্ধার হওয়া অংশ ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। তবে চিতাটি মৃত না জীবিত ছিল তার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করছে বনবিভাগ।
Published by Samyajit Ghosh