কৌশিক দাস, কলকাতা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : West Bengal Budget বিধানসভায় রাজ্য বাজেটে পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই বাজেট পেশ করলেন তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগেও সোচ্চার হয়েছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একাধিকবার কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে। আজ বাজেটে পেশের পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল কেন্দ্রের বঞ্চনার সুর। একইসঙ্গে এই পরিস্থিতেও রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ায় খুশি মমতা। প্রশংসা করলেন রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাজেট পেশের পর রাজ্য বাজেটে নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “উন্নয়নশীল সরকারের যা গর্বের মতো বিষয় সেই কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এবারের বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ বরাদ্দ। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় ২৫.২, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১৯.৪ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চলতি বাজেটে। ৩৩.২ গুণ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে এই খাতে। ৭৮ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দিচ্ছে রাজ্য। আগামী দিনে আবাসন আরও বাড়ানো হবে। গতবারের বাজেট ছিল ৩, ০৮, ৭২৭ কোটি। চলতি অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে হয়েছে, ৩,২১,৩০ কোটি।”
মুখ্যমন্ত্রী বাজেটের প্রশংসার পাশাপাশি এদিন জোরালো সমালোচনা করেন কেন্দ্রের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, “আমরা ৯০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। ওরা জিএসটি’র টাকা, আয়করের টাকা তুলে নিয়ে যায়। কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজে। আর কেন্দ্র নাম রেখে বড়বড় চিঠি পাঠায়। আমফান ত্রাণ বাবদ ৩২৩১০ কোটি এবং ইয়াস-এর জন্য ৪২২২ কোটি পাই।”
এদিন সামাজিক প্রকল্পগুলি নিয়েও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, “আমাদের একাধিক সামাজিক স্কিম আছে। সেইগুলোতেও কাজ হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে। তাজপুর, ডেউচা পাচামি, অশোকনগর ওএনজিসি কাজ হচ্ছে। ৯০% এর উপরে পরিবার রাজ্য সরকারের পরিষেবা পেয়েছে। এত কোভিড মহামারী, সাইক্লোন থাকা সত্ত্বেও আমাদের কাজ চলছে। কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ড্রেজিং করেনি কেন্দ্র। এমনকী ফারাক্কা নদী ভাঙন থেকে শুরু করে ঘাটাল কোনও কিছুর জন্যই টাকা নেই। শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সির জোরে আর ইলেকশন মেশনারির জোরে চারটে ভোটে জিতে বাজনা বাজাচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা নিয়ে এখন থেকে চেঁচাচ্ছে। বাংলায় হেরেও লজ্জা নেই৷ আমি অনেক বাজেট করেছি। কিন্তু এমন দেখিনি। আগে কখনও এমনটা দেখিনি।”
মমতা বলেন, “যারা বলে আমরা পেনশন দিই না তাদের জানতে হবে, এক মাত্র রাজ্য বাংলা যারা পেনশন দেয়। প্রায় ৫১ হাজার কোটি ঋণ ভার বাড়ল রাজ্যের।” দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করতেও ছাড়েননি মমতা। বলেন, “এবার গ্যাস, পেট্রোলের দাম বাড়বে। ইকোনমি ফেল করেছে। মানুষের হাতে পয়সা নেই। মানুষের হাতে পয়সা দিলে অর্থনীতিটা সচল হয়।”
West Bengal Budget
Published by Subhasish Mandal