ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
আজমীর, Special report on illegal mining of Shree Cement : শ্রী সিমেন্ট তার নিজস্ব উপায়ে ক্রমাগত স্বেচ্ছাচারিতা করে চলেছে, ইন্ডিয়া নিউজও এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ক্রমাগত আওয়াজ তুলছে। পাহাড়ের বুকে ক্রমাগত খুড়ছে শ্রী সিমেন্ট। তারা মানুষের জীবন নিয়ে চিন্তা করে না। শ্রী সিমেন্ট তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যস্ত। আজমিরের মাসুদায় শ্রী সিমেন্টের বেআইনি খননের কারণে মানুষের জীবন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
খনি থেকে নির্গত ধুলোয় মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন ও আইনের ভয় নেই শ্রী সিমেন্টের। ইন্ডিয়া নিউজের প্রচারে প্রভাব পড়েছে, এসডিএম প্রিয়াঙ্কা বদগুজার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই তদন্ত কমিটিতে পঞ্চায়েত আধিকারিকরাও থাকবেন।
শ্রী সিমেন্টের অবৈধ খনন জীবন নরকে পরিণত করেছে Special report on illegal mining of Shree Cement
মাসুদা এলাকার লোকজনের অভিযোগ, শ্রী সিমেন্টের অবৈধ খনন তাদের জীবনকে নরক করে তুলেছে, ডিনামাইটের সাহায্যে পাহাড় ভাঙার কারণে তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। খনির ধুলো তাদের ক্ষেতে জমছে, এতে তাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় জলের স্তরও নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন মাসুদাবাসী।
কর্মচারীরাও কোম্পানির প্রতি অসন্তুষ্ট Special report on illegal mining of Shree Cement
শ্রী সিমেন্টের এই স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে শুধু মাসুদা এলাকার মানুষই ক্ষুব্ধ নয়, এখানে কর্মরত শ্রমিকরাও কোম্পানির প্রতি ক্ষুব্ধ। এখানে দুর্ঘটনায় কোম্পানি তাদের চিকিৎসা বা কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। বরং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনই এক দুর্ঘটনার শিকার ওই শ্রমিক তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি একটি জিপসাম প্ল্যান্টে কাজ করতাম। কারখানার ঠিকাদারের নাম ফিরোজ খান।
আমাকে সেখানে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ করানো হয়েছিল। আমাকে সেখানে একটি এসিড ভাল্ব খোলার জন্য কাজ করানো হয়েছিল, যার কারণে আমি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিলাম। পরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ভালো না হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। আজ এই দুর্ঘটনার ৭ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারিনি। আমি ডান হাত দিয়ে কোন কাজ করতে পারি না।
লকডাউনের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে Special report on illegal mining of Shree Cement
একইসঙ্গে আরেক শ্রমিক বলেন, করোনার সময় যখন প্রথম লকডাউন জারি হয়েছিল, তখন ১৫ দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। সুস্থ হয়ে ফিরে গেলে আমাকে বলা হয়, যারা এখন ডিউটিতে আছেন তাদেরও নেওয়া হচ্ছে না। তুমি ১-২ দিন পর এসো। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ পাইনি। প্রতিদিন কয়েক দফায় লোকজনকে বলা হলো, যা খুশি করো, এখানে কোনো চাকরি নেই।
মাসুদা এলাকার মানুষের পক্ষে সোচ্চার অ্যাডভোকেট আনোয়ার আলী জানান, শ্রী সিমেন্টের অবৈধ খননের কারণে এখানকার মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছেন। যেসব শ্রমিক কারখানায় কাজ করতে যায়, অসুস্থতা বা কোনো কাজের কারণে ছুটি নিলে কোম্পানি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে।
এ কারখানায় দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয় না প্রতিষ্ঠানটি। এখানে কর্মরত ব্যক্তিরা এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে কোম্পানিও তাদের বের হওয়ার পথ দেখায়। তারা পুলিশের চাপে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণকে শোষণ করছে।
পরিবেশের ক্ষতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী Special report on illegal mining of Shree Cement
এ বিষয়ে রাজস্থানের পরিবেশমন্ত্রী হেমারাম চৌধুরী বলেছেন, কোনো কারখানা থাকলে, পরিবেশের ক্ষতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইয়া নিউজ এবং দৈনিক আজ সমাজের সম্পাদকীয় পরিচালক অলোক মেহতা এই বিষয়ে বলেছেন যে বিষয়টি খুবই গুরুতর। শ্রী সিমেন্ট একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। আজমির এলাকা শচীন পাইলটের অধীনে আসে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সবসময় বলেন যে আমরা আমাদের মানুষকে দূষণ থেকে বাঁচাতে কাজ করি।
বছরের পর বছর ধরে যদি এই এলাকার মানুষ এ বিষয়টি তুলে আসছে, তাহলে আশু দৃষ্টি দেওয়া দরকার। এবার যে কমিটি করা হয়েছে তা নিছক লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। শ্রী সিমেন্টের এই অবৈধ খননের কারণে গ্রামবাসীরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তার বিষয়ে সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
Special report on illegal mining of Shree Cement
Publish by Monirul Hossain