ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
কলকাতা :গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য সরাকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়াতে তোপ দাগছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিভি্ন ইস্যুতে রাজভবনে রীতিমত মুখ্যসচিবকে রাজ্যপুলিশের ডিজিকে তলব করেছেন। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি মুখ্যসচিব কিংবা ডিজি। আবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকলে কোন ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য সাড়া দেননি। এমনকি রাজ্য বিধানসভার উপাচার্যের কাছে থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিভিন্ন পদে অবসরপ্রাপ্তদের বিশেষজ্ঞপদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রীতিমত নালিশ করেছিলেন। আজ বিধানসভায় সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সামনেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেনজির ভাবে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল। ভোটার্স ডে উপলক্ষে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বিভিন্ন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কি বললেন দেখে নিন এক নজরে।
“এখানে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে” : রাজ্যপাল
“ বলতে খারাপ লাগছে পশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের কোনও স্বাধীনতা নেই। আমরা দেখেছি ভোট পরবর্তী হিংসা কীভাবে এ রাজ্যে হয়েছে। নিজেদের মতো করে ভোট দিয়েছেন বলে জীবন দিতে হয়েছে। এটা লজ্জাজনক। এখানে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত। আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক। আইন মেনে কাজ করুক। কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের নিয়ম ভুলে গিয়েছেন। সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গিয়েছেন। সংবিধানের সঙ্গে দূর দূরান্ত অবধি তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই। আগুন নিয়ে খেলছেন তাঁরা।”
“কোনও ফাইল রাজ্যপাল আটকে রাখেননি” : রাজ্যপাল
“আমি আপনাদের স্পষ্ট করে দিতে চাই কোনও ফাইল রাজ্যপাল আটকে রাখেননি। অধ্যক্ষ বলছেন, রাজ্যপাল আটকে রেখেছে ফাইল। আমি হতবাক হয়ে যাই এ কথা শুনে। দু’বছরের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী কোনও তথ্য দেননি। এগুলো সংবিধান কি মান্যতা দেয়? সংবিধান মোতাবেক উনি তো তথ্য দিতে বাধ্য। অণ্ডাল বিমান বন্দর, অতিমারি, গ্লোবাল বিজনেস সামিট, মা ক্যান্টিন, স্পোর্টস ক্লাব নিয়ে আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে এগুলোয় দুর্নীতি হয়েছে। প্যানডেমিক পারচেস নিয়ে কে তদন্ত শুরু করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী! কোথায় রিপোর্ট? তাই আমি ফাইল আটকে রাখি এ কথা বলে লাভ নেই।”
“এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন” : রাজ্যপাল
“আমি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার আছে। এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি মনে করেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানতে চেয়েছি। বিএসএফ রেজোলিউশন নিয়ে জানতে চেয়েছি উনি জবাব দেননি। উনি কি ১৬৮ ধারা জানেন না? এভাবে একজন অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।” “আমি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার আছে। এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি মনে করেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানতে চেয়েছি। বিএসএফ রেজোলিউশন নিয়ে জানতে চেয়েছি উনি জবাব দেননি। উনি কি ১৬৮ ধারা জানেন না? এভাবে একজন অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।”
“আমি জানতে চাই, কোন পথে এই পরামর্শদাতা নিয়োগ হচ্ছে” : রাজ্যপাল
“সরকার পরামর্শদাতা (Consultant) নিয়োগ করতে চায়। ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী আমার পরামর্শদাতা নিয়োগ নিয়ে কিছু বলার নেই। আমি জানতে চাই, কোন পথে এই পরামর্শদাতা নিয়োগ হচ্ছে। আপনি জানাননি কীভাবে আপনি এই নিয়োগ করছেন। সংবিধানের ১৬ ধারা মেনে নিয়োগ করতে হয়। আপনি ফেল করেছেন সেখানে।”