অমিত সরকার, কোচবিহার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : দিনহাটা মহকুমার সীমান্তবর্তী গ্রাম দরীবশ ও জারিধল্লা। একদিকে বাংলাদেশ, অন্যদিকে ধরলা নদী এই এলাকা দুটিকে যেন পৃথক করে রেখেছে ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। সারা বছরের সাথে সাথে প্রচণ্ড বর্ষায় নদী যখন ফুলেফেঁপে ওঠে তখন এই দুটি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দাকে রোজ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। তাঁদের আছে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু নেই পরিসেবা। ভারতের মধ্যে থেকেও তারা যেন বিদেশি নাগরিকের মতো জীবনযাপন করে। এমন হাজারো সমস্যার মধ্যে এবার তাঁদের সামনে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধরলার করাল ভাঙন।
নদীবাঁধ সংস্কারের আকুতি দিনহাটার দুটি গ্রামে River erosion at Dinhata
আরও পড়ুন : Victims did not get Central Help শববাহী গাড়ি দুর্ঘটনায় এখনও মেলেনি কেন্দ্রীয় সাহায্য! ক্ষোভ বাড়ছে বাগদার পারমাদনে
নদী ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যেই ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি ও কয়েকশো বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। ভিটেমাটি বসতবাড়ি হারিয়ে কার্যত দিশেহারা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা একপ্রকার আক্ষেপের সুরে জানায়, প্রশাসনিক আধিকারিকরা বার বার তাদের এলাকা পরিদর্শন করলেও নেয়নি কোনও সুব্যবস্থা। ফলে নদী ভাঙন দিনের পর দিন কার্যত মারাত্মক আকার ধারণ করছে। একই সাথে তাঁরা সরকারের কাছে নদীবাঁধ সংস্কারের দাবিও জানায়। এলাকার বাসিন্দাদের মতো একই সুর শোনা গেল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাদ্দাম হুসেনের গলাতেও। তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান বিষয়টি নজরে আনার জন্য।
অপরদিকে গীতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা বিশিষ্ঠ সমাজসেবী অভিজিৎ রায় জানান, সরকার এখনই যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তো কিছুদিনের মধ্যে কার্যত মুছে যেতে চলেছে ওই এলাকার মানচিত্র। পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হওয়ায় সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, সেখানকার মানুষদের দুর্দশার কথা। সাথে সাথে তিনিও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন নদীবাঁধের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য।
—–
Published by Subhasish Mandal