অশোক ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : বিনপুর থানার হাড়দা পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় প্রাক্তন বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা প্রাক্তন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য জলধর পাণ্ডাকে শুক্রবার গ্রেফতার করে বিনপুর থানার পুলিশ। শনিবার তাঁকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দা গ্রামে বিনপুর থানার পুলিশ ক্যাম্প লাঠি, লোহার রড, কাচের বোতল, পাথর ও বোমা নিয়ে প্রায় ৫০ জন লোক ঘেরাও করে । পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাওয়ের সাথে বিনপুর বক্সি রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় পুলিশ ক্যাম্পের উপর। ঘটনায় আহত হন তৎকালীন বিনপুর থানার আইসি।
TMC leader arrest হাড়দা পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতির জেল হেফাজত
বিনপুর থানার হাড়দা পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও এবং হামলা চালানোর ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সক্রিয় নেতা সিন্টু সাহা ও জলধর পাণ্ডার। মামলা রুজু করেছিল বিনপুর থানার পুলিশ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে সিন্টু সাহাকে গ্রেফতার করে বিনপুর থানার পুলিশ। সিন্টুকে কোর্টে তোলা হলে জেল হেফাজত হয়। বর্তমানে সিন্টু জেলে রয়েছে। ঘটনার অপর অভিযুক্ত জলধর পাণ্ডার এদিন ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
কোর্টে তোলার সময় জলধর পাণ্ডাকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কী কারণ গ্রেফতার করা হয়েছে আমি কিছুই জানি না। তবে আমি শুনেছি হাড়দার কোনও এক ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আবার অভিযোগ করে বলেন, বিনপুর ও লালগড়ের কয়েকজন অঘোষিত নেতা আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে। আমার ও আমার পরিবারের উপর বহুবার আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছে। দলের স্বজনপোষণ নিয়ে অভিযোগ করায় আমাকে কোর কমিটি থেকে সরানো হয়েছে। যদিও আমি কখনও পদের লোভ করিনি। আমি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছি। ২১ বছর বয়সে আমি চাকরি না খুঁজে তৃণমূলের হাত ধরি। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন তাঁদের চৈতন্য হোক ।
আরও পড়ুন : Child marriage in Cooch Behar নাবালিকার বিয়ে আটকাল চাইল্ড লাইন
Published by Subhasish Mandal