ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
অমিত সরকার, কোচবিহার: দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া রয়েছে বিভিন্ন জেলায় পৌর ভোট। করোনা সংক্রমনের কারণে পিছিয়েছে পৌর ভোটের দিনক্ষণ অবশেষে রাজ্যের ৪ পুর নিগমের ভোটের দিনক্ষণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সম্ভবত হতে চলেছে রাজ্যের বাকি পৌরসভাগুলির নির্বাচন।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে পৌরসভা গুলিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (Cooch Behar vote)
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্য দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। ফলে স্বভাবতই পৌর নির্বাচনে পৌরসভা গুলি দখল করতে মরিয়া তারা। যদিও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ছবিটা কিন্তু একটু আলাদা। মূলত কোচবিহারের ৯ বিধানসভার মধ্যে ৬ টিতেই জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি । ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখলে বোঝা যায় পৌরসভা গুলিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বিজেপির। এমত অবস্থায় বৃহস্পতিবার কোচবিহার বিজেপি সদর কার্যালয় আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার বিজেপি বিধায়কদের সাথে বৈঠক করেন কোচবিহারের সংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। বৈঠক শেষে নিশীথ প্রামানিক বলেন – লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে সব পৌরসভাতেই এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামী পৌর নির্বাচনে ও মানুষ তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সাথেই থাকবে।
কোচবিহার জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর( Cooch Behar vote)
যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলার তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম রায়। পার্থ বাবু বলেন – দলের অভ্যন্তরে নিশীথ প্রামাণিকের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এই বৈঠক তার অনেক আগেই করা উচিত ছিল আসলে দলের ভিতরে তার কিছুটা নম্বর কমে গেছে সেই নম্বর বাড়াতেই পৌর নির্বাচনের আগে তার এই মিটিং। পার্থ প্রতিম রায় কটাক্ষ করে বলেন – তিনি সাংসদ ও মন্ত্রী হবার পর এই রাজ্য তথা জেলার জন্য কিছুই করেননি নারায়নী সেনার নামে মিথ্যে কথা বলেছেন, বিমানবন্দর এখনো চালু করতে পারেননি ভারত বাংলাদেশ রেলপথ চালু করতে পারেননি । ফলে আগামী পৌর নির্বাচনে কোচবিহারের সব কয়টি আসনে মানুষের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়যুক্ত হবে। পৌর নির্বাচনের দামামা বাজতেই তাই কোচবিহার জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।