Home remedies for Dizziness মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া প্রতিকার
পারভীন কুমারী, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : হঠাৎ করে চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে যাওয়া, জিনিসগুলি চারদিকে দ্রুত গতিতে চলছে মনে হওয়া, মাথা ঘোরা এবং তার সাথে সারা শরীর কাঁপতে থাকা এইরকম শারীরিক উপসর্গ কম বেশি সকলের জীবনেই দেখা দিতে পারে। এছাড়া কখনও কখনও এরসাথে দুর্বলতা এবং ক্লান্তিও অনুভূত হয়।এইসব কিছুই মাথা ঘোরার লক্ষণ বলে মনে করা হয়। যদিও এই সমস্যা এমন কিছু উদ্বেগ জনক নয় তথাপি কয়েকটি ক্ষেত্রে এটা গুরুতর আকার নিতে পারে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে এমন হয়। রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণেও এই অবস্থা হতে পারে।
এক্ষেত্রে আলোচিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি সাফল্য পেয়েছে। তবে সমস্যাটি যদি গুরুতর হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়ের উপর নির্ভর না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।
Home remedies for Dizziness মাথা ঘোরা ঘরোয়া প্রতিকার
১. তুলসীর রসে চিনি মিশিয়ে বা তুলসী পাতা ও মধু খেলে মাথা ঘোরা বন্ধ হয়।
২. আদা বমি ও বমিভাব কমাতে উপকারী। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, দ্রুত মাথা ঘোরার সমস্যা কমায়। তাই মাথা ঘোরার সমস্যা হলে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। পাশাপাশি খেতে পারেন আদা চা।
৩. ১০ গ্রাম ধনে গুঁড়া এবং ১০ গ্রাম আমলা গুঁড়া নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে পান করুন। সকালে পান করুন এই পানীয়। এতে মাথা ঘোরা বন্ধ হয়।
৪. আধ গ্লাস জলে দুটি লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই জল পান করুন। এই জল পানের উপকারিতা রয়েছে।
৫. ১০ গ্রাম গুজবেরি, ৩ গ্রাম কালো মরিচ এবং ১০ গ্রাম বাতাশা পিষে নিন। ১৫ দিন খান, মাথা ঘোরা বন্ধ হয়ে যাবে।
৬. দুপুরের খাবারের ২ ঘন্টা আগে এবং সন্ধ্যার সময় ফলের রস পান করা উচিত। প্রতিদিন জুস পান করলে মাথা ঘোরা বন্ধ হবে। তবে খেয়াল রাখবেন জুসে যেন কোনো ধরনের মিষ্টি বা মশলা যেন না থাকে। চাইলে জুসের বদলে তাজা ফলও খেতে পারেন।
৭. প্রতিদিন ডাবের জল পান করলেও মাথা ঘোরা বন্ধ হয়।
৮. চা-কফি কম পান করুন। অতিরিক্ত চা-কফি পান করলেও মাথা ঘোরা হতে পারে।
৯. ২০ গ্রাম শুকনো আঙ্গুর ঘি দিয়ে সিদ্ধ করে লবণ মিশিয়ে খান, মাথা ঘোরা বন্ধ হবে।
১০. তরমুজের বীজ পিষে ঘিতে ভাজুন। অল্প পরিমাণে সকাল-সন্ধ্যায় খান, মাথা ঘোরার সমস্যায় খুবই উপকারী।
১১. মানুষ প্রায়ই লেবুর রস খান। লবণ দিয়ে লেবু খেলেও মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে।
১২. অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান।