সঞ্জিত সেন, পূর্ব বর্ধমান, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: সরকারি জমি দখল করার করার অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য বর্ধমানে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে ঘটেছে এই ঘটনা, এমনই অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের দুই পঞ্চায়েত সদস্যর। ঘটনাটি ঘটেছে বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোপালনগর এলাকায়।
পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাসের অভিযোগ, গোপালনগর এলাকার সেচ দফতরের সরকারি জায়গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন রাতারাতি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। শাসকদলের তকমা লাগিয়ে অর্থের লোভে অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তাঁরা। এই বিষয়ে বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস ও আরেক সদস্য হেমন্ত খাঁ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক, বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক (উত্তর), বর্ধমান সেচ দফতর ও বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রশাসন এই বিপুল পরিমাণের সরকারি জায়গাটি অসাধু প্রোমোটারদের হাত থেকে পুনঃরুদ্ধার করুক। সেই সঙ্গে এই জায়গায় শিশুদের জন্য পার্ক বা স্বচ্ছ জল প্রকল্পের মতো পরিকল্পনা গ্রহণ করুক যাতে গ্রামবাসীরা উপকৃত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতেই জমি দখলের অভিযোগ Alleged occupation of government land in Burdwan
পাশাপাশি উপপ্রধানের মদতে এলাকায় একাধিক অনৈতিক কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত খাঁ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৈকণ্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে খবরের শিরোনামে আসে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদত্যাগ করেছেন আগের প্রধান। বর্তমানে উপপ্রধানই সমস্ত কার্যভার সামলাচ্ছেন। যদিও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে।
বর্তমানে সমস্ত দায়িত্ব সামলানো উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর নামেই কেন অভিযোগ করছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি ওই সদস্যদের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন টেলিফোনে জানিয়েছেন এই ঘটনার সাথে তিনি যুক্ত নন।
—–
Published by Subhasish Mandal