How to take care of hair চুলের যত্ন নিন সঠিক ভাবে
মুক্তা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা : চল্লিশের কোঠায় পা রেখেছেন কি রাখেননি চুল নিয়ে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত? দূষণের কারণে চুল পড়া ও চুল পেকে যাওয়া তো আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। তবে ৪০ বছর বয়সে এসে তা যেন আরও বেড়ে যায়। তারপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুল আর বাড়তেই চায় না। যে কোনও বয়সেরই সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ চুল। নারীরাও তাই চুল নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসেন। কিন্তু চল্লিশে পা রাখতেই চুল যদি এই ভাবে খারাপ হতে থাকে, তা হলে তো বেজায় মুশকিল।
ত্বকে বলিরেখা এবং চুলের ধূসরতা নির্দেশ করে যে আপনি বার্ধক্য পাচ্ছেন। যাইহোক, বয়সের সাথে ঘটে যাওয়া এই পরিবর্তনগুলি কেউ থামাতে পারে না।
How to take care of hair কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন
খাদ্যাভাষ উন্নত করুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনার খাদ্যাভাস উন্নত করা। আপনি যদি আপনার ডায়েট ভাল রাখেন তবে বয়সের সাথে সাথে আপনার মুখ এবং চুলে পরিবর্তনের প্রভাব কম দেখা যাবে। নারীরা যখন মেনোপজের পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে চুল নিজে থেকেই পাতলা হতে শুরু করে।
তাজা ফল খাওয়া উচিত
বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি আপনার খাদ্যতালিকা এবং জীবনযাত্রায় ছোট পরিবর্তন করতে পারেন। এ জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত তাজা ফল রাখা উচিত। যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি খান। এছাড়াও আপনার খাদ্যতালিকায় সয়াবিন এবং দই অন্তর্ভুক্ত করুন।
চুল রং করা উচিত নয়
আপনি যদি সাদা চুল কালো করতে চুলে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেন, তাহলে আপনার জেট ব্ল্যাক কালার করা উচিত নয়। এটি আপনার চুলকে প্রাকৃতিক দেখায় না, পরিবর্তে আপনি গাঢ় বাদামী, বাদামী কালো রঙ বা যে কোনও হালকা রঙ বেছে নিতে পারেন। এর সাথে সাথে আপনার চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে যেমন সময় সময় তেল দেওয়া, চুলের কন্ডিশনিং ইত্যাদি।
খাদ্যতালিকায় সঠিক পরিমাণে প্রোটিন রাখুন
পার্লারে আপনি হেয়ার স্পা, প্রোটিন ট্রিটমেন্ট এবং অন্যান্য অনেক হেয়ার ট্রিটমেন্ট পাবেন যা আপনার ক্ষতিগ্রস্থ চুল মেরামত করবে এবং চুল পাতলা হওয়া কমিয়ে দেবে। এছাড়াও, আপনি আপনার ডায়েটে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন। এ জন্য খাদ্যতালিকায় মসুর ডাল, সয়াবিন, দই ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন ।
চুলে প্রোটিন কম থাকলে ক্ষতি নিশ্চিত। মেনোপজের সময় নারীরা মানসিক চাপে থাকেন। এর ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায় এবং পড়তে শুরু করে। মানসিক চাপ উপশম করতে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন। চুল কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হেয়ার ড্রায়ারে না
চুল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা অনেক সময়ে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করি। আর চুলের স্টাইল করতে ব্যবহার করি হেয়ার স্ট্রেটনার। এগুলো মত সম্ভব কম ব্যবহার করুন। সাধারণ ভাবেই চুল শুকোতে দিন।
অতিরিক্ত চিরুনি ব্যবহার করবেন না
চুলকে তার নিজের মতো করে থাকতে দিন। সব সময়ে চিরুনি ব্যবহার করে চুল গুছিয়ে রাখার দরকার নেই। বারবার চিরুনি ব্যবহার বন্ধ করুন। আর তার সঙ্গে এটাও মনে রাখুন, খুব শক্ত করে চুল ব্যান্ড দিয়ে বাঁধা চলবে না। এই সবই চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
রোদ থেকে চুল বাঁচান
চুল নষ্ট হওয়ার একটা বড় কারণ হল রোদের সংস্পর্শে চুলের আসা। ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি চুলের জন্য খুবই খারাপ ফলাফল ডেকে আনে। চুলের শুষ্কতা, চুল পড়ে যাওয়া এই সবই কিন্তু হয় রোদের জন্য। কিন্তু ঘরে তো বসে থাকা যাবে না। তাই চুল ঢেকে রাখুন স্কার্ফ ব্যবহার করে। আর ছাতা ব্যবহার করতে একদমই ভুলবেন না
বর্তমানে আমাদের কাছে অনেক প্রযুক্তি রয়েছে যা বাড়ন্ত বয়সে চুলের সমস্যা কমাতে পারে। চুলের রং, জৈব শ্যাম্পু, গাঢ় চুলের জন্য চুলের তেল এবং হেয়ার সিরামের মতো পণ্যগুলি আপনার চুলের ধূসর হওয়ার সমস্যা দূর করে এবং আপনার চুল ঘন রাখতেও সাহায্য করে।